সোহানের সেঞ্চুরিতে রক্ষা পেল শেখ জামাল
শিরোপা জেতার ঘ্রান নিয়ে সুপার লিগ শুরু করা শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে বেশ ভড়কেই দিয়েছিল রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে রূপগঞ্জ টাইগার্সের ৬ উইকেটে ২৪৭ রানের জবাব দিতে নেমে শেখ জামাল এক পর্যায়ে ৮১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে হারের প্রহর গুনছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর হার মানতে হয়নি। নুরুল হাসান সোহানের অপরাজিত ১৩২ রান শেখ জামালকে এক ওভার হাত রেখেই ৪ উইকেটে জয় এনে দেয়। এই জয়ের ফলে শেখ জামাল শিরোপার দিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল। ১২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২২। সমান ম্যাচে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব ১০। শিরোপা লড়াইয়ে শেখ জামালের প্রতিদ্বন্দ্বি লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জও এই রাউন্ডে জয় পেয়ে লড়াইয়ে আছে। তারা ৩ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে। শেখ জামাল সুপার লিগে তৃতীয় ম্যাচ খেলবে ২৪ এপ্রিল বিকেএসপির ৪ নম্বার মাঠে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের খেলা মিরপুরে আবাহনীর বিপক্ষে।
মিরপুরে শেখ জামালের জয় ছিল এক কথায় অসাধারণ। এ দিন তারা মেহেদি হাসান মিরাজের পর মুশফিকুর রহিমকে সেরা একাদশে নিয়ে শক্তি অনেক বাড়িয়ে নিয়েছিল। কিন্তু তারপরও তারা বেশ ধাক্বা খেয়েছিল। যদি নুরুল হাসান সোহান না দাঁড়িয়ে যেতেন, তা’হলে এই ম্যাচে তাদের হার কেউ ঠেকাতে পারত না। ২৪৭ রানের টার্গেট অতিক্রম করতে নেমে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর তোপে পড়ে ২৩ রানে দুই ওপেনার সাইফ হাসান (১১) ও রবিউল ইসলাম রবিকে (০) হারায়। এই বিপর্যয় আরো ঘনিভুত হয় অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ১২, মুশফিকুর রহিম ৩২ ও পারভেজ রাসুলের মতো ব্যাটসম্যান ১ রান করে দলীয় শতরানের আগেই ফিরে গেলে। তখন তাদের রান ছিল ৫ উইকেটে ৮১। জয়ের জন্য তখনো প্রয়োজন ১৬৭। ওভার বাকি ২৯.১টি। উইকেট ৫টি। কিন্তু নেই সে রকম কোনো স্বীকৃত ব্যাটসম্যান। ভলসার শেষ জায়গা ছিল নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদি হাসান মিরাজ। এই দুই জনেই ভরসার প্রতীক হয়ে দেখা দেন। ধীরে ধীরে রান জমা করতে করতে দলের হারের আভা দূর হয়ে জয়ের সূর্য উঁকি দিতে থাকে। জুটিতে ২৫.৪ ওভারে ১৩৪ রান যোগ করে বিচ্ছেদ আসে মিরাজ আউট হলে। ৭৪ বলের ধৈর্য্যশীল ইনিংস খেলের মিরাজ রান করেন ৪৩। বাউন্ডারি ছিল মাত্র দুইটি। মিরাজ আউট হওয়ার সময়ও শেখ জামালের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২১ বলে ৩৩ রানের। কঠিনই বটে। নুরুল হাসান সোহানকে তখন সঙ্গ দিতে এসেছেন এবাদত হোসেন। যার ব্যাট হাতে রান করার নেই সে রকম কোনো অভিজ্ঞতা। কিন্তু এবাদতকে খুব একটা স্ট্রাইক না দিয়ে নিজেই ধরে রেখে সোহান দলকে নিরাপদেই তীরে ভেড়ান এক ওভার হাতে রেখই। জয়সূচক রান আসে মুকিদুলকে ছক্কা মেরে। সোহান ১০৯ বলে সেঞ্চুরি করে শেষ পর্যন্ত ১১৮ বলে ৫ ছক্কা ও ১০ চারে ১৩২ রান করে অপরাজিত থেকে ম্যাচ সেরা হন। মুকিদুল ৭৬ রানে নেন ২ উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রাইম ব্যাংক ওপেনার জাকিরের ৭৫, সাদ নাসিনের অপরাজিত ৫০, নাসুম আহমেদের অপরাজিত ২৭, ফজ মাহমুদ রাব্বির ২৫ রানে ভর করে ৬ উইকেটে ২৪৭ রান করে। মিরাজ ৪০ রানে নেন ৩ উইকেট। সানজামুল ইসলাম ২ উইকেট নিতে খরচ করেন ৪৬ রান।
এমপি