মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট ও বাংলাদেশ

চলতি বছরের শুরুতে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৮ উইকেটের সাফল্যের জের এখনও উপভোগ করে চলেছে। সাফল্যের স্বীকৃতি এখনও পেয়ে চলেছে। সর্বশেষ পেয়েছে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা পাঁচ অলরাউন্ডারের তালিকায় বাংলাদেশের অধিনায়ক মুমিনুল হকের জায়গা করে নেওয়ার মাধ্যমে। আগের দিনই আবার জায়গা পেয়েছিল আইসিসির সেরা অঘটনের তালিকায় এই টেস্ট জয়। আবার এই টেস্ট জয়ের নায়ক এবাদত ১৭ ধাপ উন্নতি ঘটিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে একশর ভেতর ডুকে পড়েছিলেন।
বিষয়টি অবকা করার মতো। মুমিনুলের পরিচয়, তিনি একজন নিখাদ ব্যাটসম্যান। ব্যাটই তার আসল পরিচয়। এ ব্যাটিং দিয়েই তিনি কক্সবাজারের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আজ বিশ্ব মঞ্চে। নেতৃত্ব্ দিচ্ছেন বাংলাদেশ টেস্ট দলকে। বোলিং করে থাকেন মাঝে মাঝে দলের প্রয়োজনে। যে কারণে তিনি কোনো স্বীকৃত অলরাউন্ডার নন। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ দলে স্বীকৃত অলরাউন্ডার হলেন সাকিব আল হাসান। নাম আসে মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনেরও। কিন্তু মুমিনুলের নাম ভুলেও আসে না। অথচ সেই মুমিনুলই কি না পেলেন স্বীকৃত অলরাউন্ডারের উপাধি। তাও আইসিসি কর্তৃক। তার নাম এসেছে রবীন্দ্র জাদেজা, ম্যাট হেনরি, শার্দুল ঠাকুর ও কেশব মহারাজের সঙ্গে। এদের সঙ্গে তালিকায় মুমিনুলের নাম দেখে চোখ কপালে উঠার কথা।
আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এখন পর্যন্ত খেলা হয়েছে ৩০টি। এই ৩০টির পরিসংখ্যান ধরেই আইসিসি সেরা ৫ অলরাউন্ডারের তালিকায় প্রকাশ করেছে। যেখানে মুমিনুল সর্ম্পকে লিখতে গিয়ে তারা উল্লেখ করেছে, ‘নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয়ে অধিনায়ক হিসেবে মুমিনুলের পারফরম্যান্স ছিল আলোকিত। তিনি দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পেরেছেন। তা যেমন ব্যাট হাতে, তেমনি বল হাতেও। ব্যাট হাতে তিনি প্রথম ইনিংসে ২৪৪ বলে ৮৮ রান করেছিলেন। আবার দ্বিতীয় ইনিংসে ৪০ রানের জয়ের প্রয়োজনে তিনি ১৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন। আবার বল হাতেও ২টি উইকেট নিয়ে দলকে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন।’ সেই টেস্টে মুমিনুল আউট করেছিলেন ডেভন কনওয়ে ও হ্যানরি নিকোলাসকে। দুই জনই বিপজ্জনক হয়ে উঠছিলেন। বাংলাদেশের নিয়মিত বোলাররা যখন এ দুই ব্যাটসম্যানকে আউট করতে পারছিলেন না, তখনই তিনি এ দুই ব্যাটসম্যানকে আউট করেছিলেন। ইনিংসে কনওয়ে ১২২ ও নিকোলাস ৭৫ রান করেছিলেন। মুমিনুল বল করেছিলেন মাত্র ৪ অভার ১ বল।
এমপি/টিটি/
