সাব্বিরের সেঞ্চুরিতে শিরোপা লড়াইয়ে রূপগঞ্জ
প্রায় ৬ বছর পর সাব্বির রহমানের সেঞ্চুরিতে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৫৫ রানে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে শেখ জামালের জন্য হুমকি হয়েই থাকল।
হাই স্কোরিং ম্যাচে বিকেএসপির ৪ নম্বারে মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৫ উইকেটে ৩২৫ রানের পাহাড় গড়ে তুলে। সেই রান তাড়া করতে নেমে সাদ নাসিমের অপরাজিত ১১৬ রানের ইনিংসও রূপগঞ্জ টাইগার্সকে জেতাতে পারেনি। নাবিল সামাদের ৪৭ রানে ৫ উইকেটে তারা ৯ উইকেটে করে ২৭০ রান।
ঘরোয়া ক্রিকে নজর কাড়া নৈপুন্য দেখিয়ে সাব্বির রহমান অমিত সম্ভাবনা নিয়ে জাতীয় দলে প্রবেশ করেছিলেন। কিন্তু নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে পারেননি। সেই সঙ্গে ছিল কিছুটা শৃংখলাহীন জীবনও। সব মিলিয়ে সাব্বির রহমান অনেকটা আড়ালে পড়ে যান। এবারের লিগেও তিনি তেমন একটা ভালো করতে পারেননি। সেই সাব্বিরের ব্যাট জ্বলে উঠেছিল আজ বিকেএসপিতে। টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর ৮টি করে চার ও ছয় মেরে ১১১ বলে ১২৫ রান করে মুকিদুলের বলে শরিফউল্রাহ হাতে ধরা পড়েন। সেঞ্চুরি পেয়ে যাচ্ছিলেন চেরাগ জানিও। মারমুখি ব্যাটিং করে ৭ ছক্কা ও ৪ চারে তিনি ৬৬ বলে ৯৫ রান করার পর ওভার শেষ হয়ে যায়। চলতি মৌসুমে দারন ফর্মে থাকা নাঈম ইসালাম করেন ৩৩ রান। মাশরাফি করেন ১৭ রান। মুকিদুল ইসলাম ৫০ রানে নেন ২ উইকেট।
জবাব দিতে নেমে রূপগঞ্জ টাইগার্স শতরানের আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায়। এই ৫ উইকেটের ২টি করে নেন সনজিত সাহা ও নাবিল সামাদ। ১টি উইকেট নেন মাশরাফি। এরপর সাদ নাসিম হাল ধরে একাই লড়াই চালিয়ে যান। কিন্তু অপরপ্রান্তে তাকে কেউই সেভাবে সঙ্গ দিতে পারছিলেন না। তারপরও তার ১০৭ বলে ৪ ছক্কা ও ৯ চারে অপরাজিত ১১৬ রানের ইনিংসে রূপগঞ্জ টাইগার্স অলআউট না হয়ে ৯ উইকেটে ২৭০ রান করে। নাবিল সামাদ ১০ ওভারে ৪৫ রানে নেন ৫ উইকেট। সনজিত সাহা ৩৫ রানে নেন ২ উইকেট। ম্যাচ সেরা হন সাব্বির।
এমপি/এমএমএ/