গাজী গ্রুপকে হারিয়ে শিরোপার কাছে শেখ জামাল
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে চার পয়েন্টে এগিয়ে শেখ জামাল। যে কারণে শিরোপার ঘ্রাণ নিয়েই সুপার লিগে শুরু করে শেখ জামাল। সেই লক্ষ্য পূরণে তারা প্রথম ম্যাচে এক সঙ্গে দুইটি ধাপ অতিক্রম করেছে।
একটি নিজেরা ম্যাচ জিতে। প্রতিপক্ষ গাজী গ্রুপ ক্রিকের্টাসকে তারা হারিয়েছে ৭২ রানের বড় ব্যবধানেই। অপরদিকে তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি দুই দলের একটি আবাহনী হেরে যাওয়াতে এখন তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী আছে শুধু লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। এই রাউন্ডে তারাও জয় পেয়েছে। যে কারণে দুই দলের পয়েন্টর ব্যবধান ৪-ই থেকে গেছে। শেখ জামালের ১১ ম্যাচে ২০, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ১৬। মোহামেডান থেকে সমঝোতার মাধ্যমে নেয়া দুই ক্রিকেটারের মাঝে মেহেদি হাসান মিরাজ খেললেও মুশফিকুর রহিম খেলেননি। জানা গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসার পর অনুশীলন না করতে নিজ থেকেই খেলেননি। তিনি। আগামী ম্যাচ খেলবেন ।
বিকেএসপির ৩ নম্বার মাঠে মিরপুরের মতোই শেখ জামালও টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রাইম ব্যাংকের মতোই রান সংগ্রহ করে ৫ উইকেটে ২৭৫। তাদেরও রবিউল ইসলাম রবি ও সাইফ হাসানের উদ্বেধনী জুটিতে ৮১ বলে রান আসে ৭৮। সাইফ কিছুটা ধীরলয়ে ব্যাট করে ৫৩ বলে ২৫ রান করে আউটে হলেও রবি ফিরেন হাফ সেঞ্চুরি করে। তিনি ৬৯ বলে ৮ চারে ৫৮ রান করেন।
এই দুই জনের বিদায়ের পর অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও ২৪ রান করে ফিরে যাওয়ার পর চতুর্থ উইকেট জুটিতে নুরুল হাসান সোহান ও পারভেজ রাসুল ১৯.৪ ওভারে ১৪১ রান যোগ করে দলের রানকে অনেকটা নিরাপদে নিয়ে যান। দুই জনেই ৭৩ রান করে আউট হন ২ বলের ব্যবধানে। সোহানের ইনিংসে ছিল ৭২ বলে ১ ছক্কা ও ৬ চার।
পারভেজ রাসুল ৬৪ বল খেলে ২ ছক্কা ও ৭ চার মারেন। গাজী গ্রুপের ধ্রুব ৩১ রানে ৩টি ও মাহবুব ৬২ রানে ২টি উইকেট নেন।
জবাব দিতে নেমে এবাদত, পারভেজ রাসুল ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ধারাল বোলিংয়ে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৪৩.৫ ওভারে ১৯৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন ধ্রুব শোরের। এ ছাড়া ফরহাদ হোসেন ৩৩, হুসনা হাবিব ২৪, মাহবুব ২১ রান করেন।
পারভেজ রাসুল ৩৪ ও এবাদত ৪২ রানে ৩টি করে উইকেট নেন। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ১৮ রানে নেন ২ উইকেট। ম্যাচ সেরা হন পারভেজ রাসুল।
এমপি/এমএমএ/