কৃপণ মোস্তাফিজ এবার বেহিসাবি!
এবারের আইপিএলে মোস্তাফিজ হাজির হয়েছেন কৃপণ বোলার হিসেবে। তিনটি ম্যাচ খেলে প্রতি ম্যাচে ৪ ওভার করে বোলিং করে তিনি উইকেট পেলেও ওভার প্রতি রান দিয়েছিলেন কোনো ম্যাচে পাঁচের সামান্য উপরে কিংবা ছয়ের সামান্য উপরে। প্রথম ম্যাচে গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে ২৩ রানে ৩ উইকেট নেওয়ার পর লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে রান দিয়েছিলেন মাত্র ২৬। পরের ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে আরও কম, ২১ রান দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে তিনি সেই কৃপণতা আর ধরে রাখতে পারেননি। ৪ ওভার বোলিং করে রান দিয়েছেন ৪৮। ওভার প্রতি ১২ করে। ৮টি বল ডট দিলেও অবশিষ্ট ১৬ বলে দিয়েছেন ৪৮ রান। দুইটি ছক্কার সঙ্গে বাউন্ডারি ছিল সাতটি। আগের তিন ম্যাচে তিনি যেখানে ছিলেন দলের সবচেয়ে বেশি মিতব্যয়ী, আজ তিনি সবচেয়ে বেশি বেহিসাবি। তার চেয়ে বেশি রান আর কেউ দেননি। ব্যাঙ্গালুরু সংগ্রহ করে ৫ উইকেটে ১৮৯।
মোস্তাফিজ যথারীতি প্রথম ওভার দিয়ে বোলিং শুরু করেন। প্রথম ওভারেই ৫টি বল ডট দেন। প্রথম দুই বল ছিল ডট। তৃতীয় বলে গিয়ে ডু প্লেসির হাতে চার হজম করেন। পরের দুই বল ডট দেওয়ার পর ষষ্ঠ বল দেন ওয়াইড। শেষ বল আবার ডট। দ্বিতীয় ওভার করেন ব্যাটিং পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে। এই ওভারে তিনি দুইটি চার হজম করেন ডট বল ছিল দুইটি। সিঙ্গেল রান ছিল দুইটি। এই দুই ওভারে তিনি রান দেন ১৫। মোস্তাফিজ তৃতীয় ওভারে রান দেন মাত্র পাঁচটি। ৫ রানই ছিল সিঙ্গেল। অপর বলটি ছিল ডট। শেষ ওভারে করেন ইনিংসের ১৮ নম্বর ওভারে। এই ওভারেই তিনি বেহিসাবি ছিলেন। ব্যাটসম্যান ছিলেন দিনেশ কার্তিক। মোস্তাফিজের ওভার মানেই যেখানে ডট বল ছিল অত্যাবশাকীয়, সেখানে এই ওভারে কোনো ডট বল ছিল না। ছিল না কোনো সিঙ্গেল রান। চারটি চারের সঙ্গে দুইটি ছক্কা। প্রথম তিন বলে বাউন্ডারি হজম করার পরের দুই বল হজম করেন ছক্কা। এরপর শেষ বলে আবার বাউন্ডারি। এই ওভারে তিনি রান দেন ২৮, যেখানে আগের তিন ওভারে রান দিয়েছিলেন ২০।
এমপি/টিটি