মারামারি, কার্ড প্রদর্শনের ম্যাচ ড্র করে সেমিতে ম্যান সিটি
খেলা শুরুর আগেই সমস্যায় পড়েছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। তাদের খেলার ধরন রক্ষণাত্মক। কিন্তু বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাতে তাদের সেই চিরায়িত পদ্ধতি থেকে বের হয়ে আসতে বাধ্য হতে হয়েছে। কারণ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ম্যান সিটির মাঠে তারা ১-০ গোলে হেরেছিল। এবার সেই ব্যবধান কমিয়ে চলতি মৌসুমে স্পেনের তৃতীয় ক্লাব হিসেবে সেমিতে জায়গা করে নিতে হলে তাদের গোল করতেই হবে। ম্যাচ জিততেই হবে। তাও আবার দুই গোলের ব্যবধানে। কিন্তু তার কোনো কিছুই হয়নি। গোলশূন্য ড্র হলে কপাল পুড়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের। রাতটি হয়ে উঠে ইংলিশ ফুটবলের। লিভারপুলের পথ ধরে ম্যান সিটিও কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয়। যেটি আগের দিন করেছিল দুই স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ও ভিয়ারিয়াল। ২৬ এপ্রিল সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার সিটি। আগের দিন অনুষ্ঠিত হবে লিভারপুল ও ভিয়ারিয়ালের প্রথম সেমি। দ্বিতীয় লেগের সেমিফাইনাল হবে ৪ মে। আগের দিন মুখোমুখি হবে লিভারপুল ও ভিয়ারিয়াল।
অ্যাটলেটিকো যেখানে রক্ষণাত্মক খেলে, সেখানে ম্যান সিটির আদর্শ হলো আক্রমণাত্বক খেলা। অ্যাটলেটিকো নিজেদের খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসাতে ম্যান সিটিও আক্রমণাত্মক খেলার সুযোগ পায়। সেই সুযোগে তারা প্রথমার্ধ পুরোপুরি নিজেদের করে নেয়। এই অর্ধে তারা আটটি শট নিয়েছিল। প্রথমার্ধের ১০ মিনিটে ইলকাইয়ের কর্নার থেকে স্টোনেসের হেড পোস্ট ঘেষে বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৩০ মিনিটে ইলকাইয়ের শট পোস্টের কারণে বাঁধাগ্রস্ত হয়।
নিজেদের মাঠ মেট্টোপলিটানে দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া অ্যাটলেটিকো নিয়েছিল ১৩টি। নিশানা ভেদ হয়নি একটিতেও। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হলে ১২ মিনিটের মাঝেই তারা তিনটি সুযোগ তৈরি করে নেয়। প্রথম দুইটি ছিল জোয়াও ফেলিক্সের, পরেরটি গ্রিজম্যানের। আক্রমণের ধার বেড়ে যাওয়াতে সুযোগ বুঝে ম্যান সিটিও রক্ষণাত্মক কৌশল গ্রহণ করে। এতে করে স্বাগতিকদের আক্রমণের ধার বাড়তে থাকে। আক্রমণের গতি দেখে মনে হবে যেকোনো সময় তারা গোল পেয়ে যাবে। দর্শকদের মাঝে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। কিন্তু গোল আর হচ্ছিল না। উত্তেজনা বাড়ছিল অ্যাটলেটিকোর খেলোয়াড়দের মাঝেও। ধাক্কাধাক্কি, মারামারি, হলুদ কার্ড, লাল কার্ড হয়ে উঠে খেলার প্রধান বিষয়। গোলের বিষয়টি তখন আড়ালে পড়ে যায়। রেফারিকে বারবার বাঁশি বাজাতে হয়েছে। কার্ড দেখাতে হয়েছে। ম্যাচের শুরুতে প্রথম হলুদ কার্ড দেখা ফেলিপে এবার ফোডেনকে মেজাজ হারিয়ে হলুদ কার্ড, দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখে পরে লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়েন। রেফারি দুই দলের ১০ জনকে হলুদ কার্ড দেখান।
প্রাণবন্ত খেলায় হঠাৎ ছন্দ পতনের কারণে রেফারি বারবার বাঁশি বাজান। আর অতিরিক্ত সময় দেন ৯ মিনিট। এই ৯ মিনিটের খেলা শেষ করতে আবার সময় লেগেছে ১২ মিনিট।
এমপি/টিটি