মিরপুরে আরেকটি লো-স্কোরিং ম্যাচ!
মিরপুরের উইকেটে যেন ভানুমতির খেলা চলছেই। কয়েকদিন আগে অসমান বাউন্স উইকেট নিয়ে জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মোহামেডানের হয়ে প্রিমিয়ার লিগ খেলা মাহমুদউল্লাহ ড্রেসিং রুমের দরজায় লাথি দিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন।
এর আগে তিনি গ্রাইন্ডসম্যানদের দিকে তাকিয়েও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখিয়েছিলেন। এবার সেই মিরপুরে অনুষ্ঠিতে হয়েছে আরেকটি লো-স্কোরিং ম্যাচ। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের মাত্র ১৬৮ রানের জবাব দিতে নেমে ব্রাদার্স ইউনিয়ন অলআউট হয়েছে মাত্র ৮৫ রানে। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ জয় পেয়েছে ৮৩ রানে।
এই জয়ে ৯ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। অপরদিকে সমান ম্যাচে মাত্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে ব্রাদার্সের রেলিগেশন লিগ খেলা নিশ্চিত হয়েছে।
টেস হেরে ব্যাট করতে নেমে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ব্যাটসম্যানরা মোটেই সুবিধাা করতে পারেনি। এক পর্যায়ে ৫৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকে। সেখান থেকে ত্রাতার ভুমিকায় অবতীর্ন হন চলতি লিগে দারুণ ফর্মে থাকা অভিজ্ঞ নাঈম ইসলাম। তিনি সাব্বির রহমানকে নিয়ে ষষ। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৮১ রান যোগ করে দলের প্রাথমিক বিপর্যয় রোধ করেন। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি।
দলীয় ১৩৯ রানে সাব্বির রহমান ৫০ বলে ১ ছক্কা ও ৩ চারে ৪৬ রান করে আউট হওয়ার পর ২৯ রানে হারায় বাকি ৪ উইকেট। ৪৪.১ ওভারে অলআউট হয় ১৬৮ রানে। নাঈম ইসলাম ৮১ বরে করেন ৪৫ রান। চারে ব্যাট করতে নেমে কাপ্তান মাশরাফি করেন ৭ রান। ইরফান হোসেন ২৩ রান নেন ৩ ৪ উইকটে। ২টি করে উইকেট নেন চাতুরঙ্গা ডি সিলভা ও সোহাগ গাজী।
টার্গেট অল্প। ব্রাদার্সের জয় অনেকটা হাতের মুঠোয়ই। কিন্তু নাঈম ইসলাম ও চেরাগ জানির মারাত্বক বোলিংয়ে ব্রাদার্স শতরানও করতে পারেনি। মাত্র ২২.২ ওভারে ৮৫ রানে অলআউট হয়। ৩ জন মাত্র ব্যাটসম্যান দুই অংকের রান করনে। তারা হলেন সাদিকুর রহমান ১৬, চাতুরঙ্গা ডি সিলভা ১৬, মায়শাকুর রহমান ১৪। নাঈম ইসলাম মাত্র ৩.২ ওভার বোলিং করে ১৪ রানে নেন ৪ উইকটে। চিরাগ জানি ২৬ রানে নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন মেহেদি হাসান রানা ও মাশরাফি। ম্যাচ সেরা হন নাঈম ইসলাম।
এমপি/এমএমএ/