প্রিমিয়ার ক্রিকেটে উত্তেজনায় ঠাসা তিনটি ম্যাচ
প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে সোমাবরের তিনটি খেলাই হয়েছে টানটান উত্তেজনার। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ১ রানে হারিয়েছে আবাহনী। রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ৪ রানে জয় পেয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। অপর ম্যাচে মোহামেডান মাত্র ৫ রানে সিটি ক্লাবকে হারিয়ে সুপার লিগে যাওয়ার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রেখেছে।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জাকের আলীর সেঞ্চুরিতে আবাহনী ৭ উইকেটে ৩১১ রান করে। জাকের আলী ১০৯, আফিফ হোসেন ৫০, মোহাম্মদ নাঈম ৩৫, মুনিম শাহরিয়ার ২৭, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ২৬ রান করেন।
আল আমিন ৩টি এবং গুরিন্দর সিং ও কাজী অনিক ২টিঁ করে উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে গাজী গ্রুপ আল আমিনের ৯২ ও মেহেদি মারুফের ৮২ রানে জয়ের পথেই ছিল। শেষ ওভারে তাদের প্রয়োজন পড়ে ১৭ রানের।
হুসনা হাবিব ৩ চারে ম্যাচকে গাজী গ্রুপের দিকে টেনে নিয়ে আসেন। শেষ বলে প্রয়োজন হয় ৪ রানের। কিন্তু তানজিম আহসান সাকিবের করা ফুলটস বল থেকে হাবিব ২ রান নিলে ১ রানে জয় পায় আবাহনী। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৩টি ও তানভীর ইসলাম ২টি উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন জাকের আলী।
মিরপুরে বোলারদের দাপটে ভরা ম্যাচে টস হেরে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ৪৮.১ ওভারে ২০২ রানে অলআউট হয়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন সাইফ হাসান। এ ছাড়া ৫৭ রান করেন জিয়াউর রহমান। নাসুম আহমেদ ৪টি ও মুকিদুল, ফরহাদ রেজা, এনামুল হক জুনিয়র নেন ২টি করে উইকেট।
ছোট টার্গেট হলেও শেখ জামালের বোলারদের আটোসঁটো বোলিংয়ের কারণে ৫০ ওভার খেলেও জয়ের নাগাল পায়নি রূপগঞ্জ টাইগার্স। ৮ উইকেটে করে ১৯৮ রান। আসিফ আহমেদ করেন ৯৫ রান। এ ছাড়া সাদ নাসিম ৩৭, মার্শাল আইয়ুব ২৮ রান করেন। মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী ৩টি ও জিয়াউর রহমান নেন ২টি উইকটে। ম্যাচ সেরা হন জিয়াউর রহমান।
বিকেএসপির ৪ নম্বার মাঠেও টস হারা দল আগে ব্যাট করতে নেমে। এখানে দলটি ছিল মোহমেডান। সুপার লিগে যাওয়ার প্রশ্নে মোহামেডানের পূঁজি খুব বেশি হয়নি। ৯ উইকেটে করে ২২৮ রান। আব্দুল মসজিদ ৬৪, শুভাগত হোম ৫৯, ইয়াসির আরাফাত অপরাজিত ২৬, রনি তালুকদার ২৪, রুবেল মিয়া ২৪ রান করেন। আব্দুল হালিম ৩টি, রাজিবুল ইসলাম ২টি উইকেট নেন।
অস্তিস্ব রক্ষার ম্যাচে মোহামেডানের বোলাররা জ্বলে উঠলে সিটি ক্লাব ৪৮.৪ ওভারে ২২৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। হাসান মাহমুদ ৩টি, এবং সোহরাওয়াদী শুভ, নাজমুল ইসাম ও সৌম্য সরকার ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন হাসান মাহমুদ।
এমপি/এমএমএ/