সাফজয়ী স্বপ্নার জন্য রংপুরে আনন্দের ঢেউ
সাফজয়ী সিরাত জাহান স্বপ্নার জন্য গর্বিত রংপুরবাসী। আনন্দের ঢেউ বইছে স্বপ্নার বাড়ি রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্কুরিনীতে। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে ৪ গোল করেন স্বপ্না। তার অংশগ্রহণে বাংলাদেশ চাম্পিয়ন হওয়ায় পুরো রংপুর জেলায় বইছে আনন্দের ঢেউ।
বাংলাদেশ চ্যাম্পয়ন হওয়ার পরপরই এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিরাত জাহান স্বপ্নার ছবি দিয়ে পোস্ট দিয়েছে রংপুরের ফুটবলপ্রেমীরা। ভারতের ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন স্বপ্না।
দারিদ্র জয় করা রংপুরের পালিচড়ার এই মেয়ে আজ সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুটটা অর্জনে ভূমিকা রাখল। স্বপ্নার বাবা একজন বর্গাচাষি। একসময় তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না। ভাঙা ঘরে যেন এখন চাঁদের আলো।
সিরাত জাহান স্বপ্নার বাড়ি রংপুর সদরের সদ্যপুস্কুরিনী পালিচড়ার জয়রাম গ্রামে। স্বপ্নার বাবা মোকছার আলী, মা লিপি বেগম। স্বপ্না সদ্যপুস্কুরিনী পালিচড়া ফুটবল দলের খেলোয়াড়। ২০১৩ সালে ডাক পান জাতীয় দলে।
স্বপ্নার কোচ মিলন খান জানান, সিরাত জাহান স্বপ্না অত্যন্ত মেধাবী খেলোয়াড়। সে দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছে। এই সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ৪ গোল করে দেশের জয়ে ভূমিকা রেখেছে। আমি কোচ হিসেবে গর্বিত এবং আনন্দিত।
স্বপ্নার বাবা মোকছার আলী বলেন, বিশ্বাস ছিল মেয়েরা ভালো কিছু করবে। আমি আমার মেয়ের জন্য সত্যি গর্বিত। রংপুরবাসী খুব খুশি। এটা আমাদের মতো গরিব পরিবারের জন্য বিরাট কিছু। আমার ভালো লাগছে আমার মেয়ে দেশের জন্য খেলছে, ভালো খেলে রংপুরের মুখ উজ্জ্বল করছে। এসময় তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে যান এবং মেয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, আমরা রংপুরবাসী সিরাত জাহান স্বপ্নার জন্য গর্ববোধ করছি। প্রধানমন্ত্রী তাদের জন্য সদ্যপুস্কুরিনী পালিচড়ায় একটা মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করে দিয়েছেন। নারী ফুটবলারের গ্রাম সদ্যপুস্কুরিনী আমাদের রংপুরকে আজ গর্বিত করেছে।
এসজি