মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

দুদকে এখনো বহাল ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেষণে আসা অর্ধশত কর্মকর্তা  

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একের পর এক ব্যক্তি স্বার্থে নিয়োগ পাচ্ছেন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডাররা। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের (স্বার্থ রক্ষায়) প্রেষণে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা থেকে আসা অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। তাদের মধ্যে আলোচিত একটি দুর্নীতির মামলায় আসামি হয়েও উপসচিব পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা পরিচালক পদে নিয়োগ বাগিয়ে নিয়েছেন। একাধিক সূত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার আমলে প্রেষণে আসা কর্মকর্তাদের বহাল রাখা এবং একটি নির্দিষ্ট ক্যাডার থেকে ধারাবাহিকভাবে নিয়োগ দেওয়া হলে দুদক ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়বে। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে যাবে। পাশাপাশি, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত সুপারিশ বাস্তবায়ন করাও অসম্ভব হয়ে পড়বে।

দুদকের বিধিতে বলা আছে, প্রেষণে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনধিক ৩ বছর থাকতে পারবেন। ৩ বছরের অধিক হলে তারা নিজ সংস্থায় ফেরত যেতে বাধ্য। অথচ অনেক কর্মকর্তা প্রেষণে যোগদানের পর পদোন্নতি পান। আবার বছরের পর বছর দুদকের শীর্ষ পদগুলোয় বহালও থাকেন। এমনকি তাদের কেউ কেউ আট বছর ধরে দুদকে কর্মরত আছেন-এমন নজিরও আছে, যা দুদক কর্মচারী চাকরি বিধিমালা ২০০৮-এর বিধি নং ০৮(২) (ক)-এর সম্পূর্ণ লঙ্ঘন।

জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘দুদক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের আগে এ ধরনের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে স্থগিত রাখা উচিত। সুপারিশ বাস্তবায়নের আগে এ ধরনের প্রেষণে প্রেরণ করা শুরু হলে তা দুদকের জন্য বিব্রতকর হবে। তাহলে ধরে নিতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে এমন কিছু মহল আছে, যারা চাচ্ছে সংস্কারের আগে দুদককে আরও অকার্যকর করে ফেলা, যাতে পরবর্তীকালে সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা না যায়। এটিকে ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচনা করতে হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কোনো দুর্নীতি মামলার আসামিকে মন্ত্রণালয় থেকে প্রেষণে পাঠাতে চাইলেও কমিশনের উচিত হবে তাকে প্রত্যাখ্যান করা। সে ক্ষমতাও কমিশনের আছে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর বিভিন্ন সরকারি অফিসে থাকা পতিত সরকারের দোসর হিসাবে চিহ্নিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনেক কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত, অনেককে ওএসডি করা হয়েছে। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রেষণে আসা ‘ভাড়াটে’ কর্মকর্তাদের বেশির ভাগ এখনো বহাল তবিয়তে। এসব কর্মকর্তা বিভিন্নভাবে প্রভাব খাটিয়ে পতিত সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও আমলাদের দুর্নীতির অভিযোগের ফাইল বছরের পর বছর চাপা দিয়ে রেখেছেন। আবার অনেকের দুর্নীতির অভিযোগের ফাইল যাচাই-বাছাই পর্যায়েই বাতিল করা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর নতুন কমিশন দায়িত্ব নিলেও পতিত সরকারের আমলে প্রেষণে আসা কর্মকর্তাদের সরানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, অন্তর্বর্তী সরকার দুদককে স্বাধীন কার্যকর সংস্থা হিসাবে গড়ে তুলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা বললেও বাস্তবে অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। রহস্যজনকভাবে আগের মতোই দুদকের গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ পদগুলো নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারাই। ৬ জানুয়ারি মহাপরিচালক (প্রশাসন) পদে আবু হেনা মোর্শেদ জামান, ১১ জানুয়ারি ঈশিতা রনিকে পরিচালক পদে (জাবাক সদস্য), একেএম সাইফুল আলমকে চেয়ারম্যানের পিএস, ৫ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ ইকবাল বাহারকে পরিচালক (প্রসিকিউশন) হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সবশেষ গত রোববার মো. আমিন আল পারভেজ ও মো. কামরুজ্জামানকে প্রেষণে দুদকে বদলি করা হয়। তারা সবাই প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।

দুদক থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, দুদকের পরিচালক আব্দুল মাজেদ (জনসংযোগ), মো. আব্দুল আওয়াল ও উত্তম কুমার মণ্ডল তিন বছরের জন্য প্রেষণে দুদকে এসে সাত বছরের বেশি সময় কর্মরত আছেন। পরিচালক ফজলুল জাহেদ পাভেল আছেন ছয় বছর। উপপরিচালক সাবরিনা নার্গিস আট বছর, উপপরিচালক একেএম মাহবুবুর রহমান আছেন সাত বছর। প্রশাসন, পুলিশ ও জুডিশিয়ারি থেকে তিন বছরের জন্য তারা প্রেষণে বদলি হয়ে দুদকে আসেন।

প্রসঙ্গত, দুদক সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে ৩৬ নম্বর সুপারিশে বলা হয়েছে-মহাপরিচালক, পরিচালক ও উপপরিচালক প্রতিটি স্তরে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পদের নিয়োগ প্রেষণে বদলির মাধ্যমে হতে পারে। তবে তদন্ত, প্রসিকিউশন বা বিচারের স্বার্থে বিচারকর্ম বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে প্রেষণে আসা কর্মকর্তারা এই হিসাবের অন্তর্ভুক্ত হবেন না। এই সুপারিশ বাস্তবায়নের আগেই একের পর এক প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের প্রেষণে দুদকে পাঠানো হচ্ছে।

জানতে চাইলে দুদকের সাবেক মহাপরিচালক (আইন ও প্রসিকিউশন) মইদুল ইসলাম বলেন, ‘পট পরিবর্তন হলেও দুদকে কার্যত তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মরতরা চাকরিজীবনে মামলা তদন্তের অভিজ্ঞতা অর্জন না করলেও তারা প্রেষণে দুদকে বছরের পর বছর চাকরি করছেন। বিধি অনুযায়ী প্রেষণ তিন বছরের জন্য হলেও নিয়ম ও বিধির ব্যত্যয় ঘটিয়ে অনেকেই ৭/৮ বছরও থাকছেন। এক্ষেত্রে দুদক তাদের সরিয়ে নিতে বলছে না। আবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ও তাদের বদলি করছে না। এমনও হতে পারে-যারা আছেন, তারা তদবির করেই আছেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আইনের ব্যত্যয় যাদের দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা, তারা তা দেখছে না। প্রেষণের মেয়াদ তিন বছরের আইন করাই হয়েছে যাতে এখানে কোনো গোষ্ঠী গড়ে উঠতে না পারে।’ প্রশাসন ক্যাডারের লোকজন দুদকে আসতে এত আগ্রহী কেন-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের লোকজন ব্যাপকভাবে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। তাদের রক্ষার জন্যই প্রশাসনের লোকজন ধারাবাহিকভাবে দুদকে প্রেষণে পাঠানো হয়। এমনকি যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তাকেও দুদকে প্রেষণে পাঠানোর নজির সৃষ্টি করা হয়েছে। এভাবে চললে দুর্নীতি দমনের যে কথা বলা হচ্ছে, সেটা কখনো হবে না।’

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভাষ্য-দুদক আইনের ৩ (২) ধারায় বলা আছে, ‘এই কমিশন একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশন হইবে।’ অথচ ওই আইন ও বিধি ভঙ্গ করে প্রশাসন ক্যাডারের এতসংখ্যক কর্মকর্তা প্রেষণে কাজ করলে দুদক নামের প্রতিষ্ঠানটির স্বাতন্ত্র্য থাকে না।

জানা গেছে, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে পিবিআই ভবন নির্মাণ প্রকল্পসহ বেশ কয়েকটি সরকারি প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতির মামলার (এলএ কেস) আসামি হন আমিন আল পারভেজ। মামলাটির তদন্ত হয় দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা)-২-এ। সংস্থার একজন উপসহকারী পরিচালক মামলাটির (নং-১, তারিখ : ১০.০৩/২০২০ইং ও স্পেশাল মামলা নং ০৬/২০২০ইং) তদন্ত করেন। তদন্তে পিবিআই কার্যালয় নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্পের ২২ কোটি ২১ লাখ ২৮ হাজার ৮৩৬ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়। ২০২০ সালে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রায় পাঁচ বছর চলে গেলেও কোনো ধরনের ‘কোয়ারিজ’ ছাড়া চার্জশিট দাখিলের সুপারিশ সংক্রান্ত ফাইলটি ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। এতকিছুর পরও পারভেজকে দুদকের পরিচালক পদে বদলি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অর্থ আত্মসাৎ ও জালজালিয়াতির অভিযোগে দুদকের করা মামলায় যেখানে অন্যান্য আসামির সঙ্গে আমিন আল পারভেজ এখন কারাগারে থাকার কথা, সেখানে তাকে করা হয়েছে দুদকের পরিচালক। নিজ ও সহকর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা আলোচিত এই মামলাটি ‘গায়েব’ করতে পারভেজ কৌশলে দুদকের পরিচালক পদে নিয়োগ বাগিয়ে নিয়েছেন।

জানতে চাইলে মো. আমিন আল পারভেজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো মামলা নেই। কক্সবাজারে ভূমি অধিগ্রহণের ভূমি মালিকদের ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধের অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি হয়েছিল। আমি ওই কমিটির একজন সদস্য ছিলাম। কমিটি নিরপেক্ষভাবে কাজ করেনি মর্মে অভিযোগ এনে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা তার প্রতিবেদনে আমাকে আসামি করার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ কী, আমার অপরাধ কী, সে বিষয়ে দুদক কর্মকর্তা আমার কাছে কখনো কিছু জানতে চাননি। কোনো নোটিশও করেননি। আসামি করতে হলে আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির একটা প্রমাণ তো তদন্ত কর্মকর্তাকে দিতে হবে। আবার ওই প্রতিবেদন দুদক গ্রহণও করেনি। তাহলে আমাকে দুর্নীতি মামলার আসামি বলা কতটা সমীচীন।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও সরকারের চাওয়ায় পার্থক্য বেশি না: নজরুল ইসলাম

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও সরকারের অবস্থানে খুব বেশি পার্থক্য নেই। তিনি জানান, সরকার যদি বলে যে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে, তাহলে তা ডিসেম্বরে হতে পারে বলেই ধরে নেওয়া যায়। এ অবস্থায় বিএনপি শুধু চায়, ডিসেম্বরের একটি তারিখ ধরে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক।

সোমবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, “সরকার তো বলেনি ডিসেম্বরেই নির্বাচন হবে না। আমরাও বলছি না আজই নির্বাচন হোক। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন ডিসেম্বরে হলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তাহলে এত বড় পার্থক্য কোথায়?”

এ সময় প্রশাসনে ‘বিএনপির লোক’ বসানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে নজরুল ইসলাম বলেন, “যিনি এই অভিযোগ তুলেছেন, তিনি নিজেই সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। বিএনপিকে তো প্রশাসন থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। সেই সময় বৈষম্যের শিকার হওয়া ৭০০ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিলেও, এখনো তাদের কাউকে পদায়ন করা হয়নি।”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “কোথায় বিএনপির লোক বসানো হয়েছে? যারা সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাদের যদি একজনও এখন কোনো পদে থাকতেন, তাহলে বলা যেত। আসলে এসব প্রশ্ন আমাদের না করে তাদের করা উচিত।”

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান এবং বাংলাদেশ লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড

ছবি: সংগৃহীত

দুই দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ফের স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।  যা দেশের বাজারে ইতিহাসে সর্বোচ্চ।  মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে। সোমবার (২১ এপ্রিল) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এবার ভরিতে ৪ হাজার ৭১৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাজুস।  

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে।  ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা।  এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪১ হাজার ১৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে।  তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস।  চলতি বছর ২৪ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম।  যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ১৮ বার, আর কমেছে মাত্র ৬ বার।  আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল।  যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।

স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম।  দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

Header Ad
Header Ad

এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে অব্যাহতি

গাজী সালাউদ্দিন তানভীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে দল থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) দলটির আরেক যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১১ মার্চ জাতীয় একটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আপনার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক নিয়োগে অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এর পাঠ্যবই ছাপার কাগজে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে এসেছে।

এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির প্রধানের নিকট আগামী ৭ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদান করতে এবং আপনাকে কেন দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না জানতে চেয়ে কারণ দর্শাতে আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন নির্দেশ প্রদান করেছেন।

একইসঙ্গে, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রদত্ত পূর্ববর্তী মৌখিক সতর্কতা অমান্যের প্রেক্ষিতে শৃঙ্খলা কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত আপনাকে দলের সব ধরনের দায়িত্ব ও কার্যক্রম থেকে আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নির্দেশক্রমে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও সরকারের চাওয়ায় পার্থক্য বেশি না: নজরুল ইসলাম
দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে অব্যাহতি
দুই বাংলাদেশি কৃষককে ধরে ভারতে নিয়ে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল
গাইবান্ধায় অপহরণের দুই ঘন্টা পর এসএসসি পরীক্ষার্থী উদ্ধার, আটক ২
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি
কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশনে কুয়েট শিক্ষার্থীরা
২০ দিনে ৫০ কোটিরও বেশি আয় করল শাকিবের 'বরবাদ'
ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার
টাঙ্গাইলে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
ঢাকা-৫ আসনের সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
কারাগার থেকে দুটি শীতের সোয়েটার হারিয়ে গেছে: কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে পলক
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের গোপন আস্তানার সন্ধান
বাকৃবিতে পারভেজ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি
যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক সুরক্ষায় অকার্যকর বেনাপোল এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন
পলাতক সব এমপি মন্ত্রীদের আইনের আওতায় আনা হবে: প্রেস সচিব
হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের ‘এনআইডি লক’
রবীন্দ্রনাথের ‘দেনাপাওনা’য় জুটি বাঁধছেন ইমন-দীঘি
বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার