লড়াই হবে রক্ষণভাগের সঙ্গে আক্রমণভাগের
মেয়েদের সাফে একচেটিয়া আধিপত্য ছিল ভারতের। আগের পাঁচ আসরে প্রতিবারই চ্যাম্পিয়ন ভারত। এবার তারা ছিটকে পড়েছে সেমি ফাইনাল থেকেই। এই ছিটকে পড়ার কাজটি করেছে আজকের ফাইনালের দুই প্রতিপক্ষ বাংলোদেশ ও নেপাল। ‘এ’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে বাংলাদেশ ৩-০ গোলে ভারতকে হারিয়ে সেমিতে নেপালের সামনে ঠেলে দেয়। নেপালের কাছে ১-০ গোলে ভারতের বাজে বিদায় ঘণ্টা। সাফের নতুন রানি হওয়ার লড়াইয়ে শামিল হয় বাংলাদেশ ও নেপাল। আগের পাঁচ আসরের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে নেপাল চারবার ও বাংলাদেশ একবার ফাইনাল খেলেছিল।
আজকের ফাইনালে দুই দলই চাইবে শিরোপার ঘ্রাণ নিতে। কিন্তু সেই ঘ্রাণ নেওয়ার লড়াই হবে দুই দলের আক্রমণভাগের সঙ্গে রক্ষণভাগের। দুই দলই এখন পর্যন্ত নিজেদের জালে গোল হজম করেনি। আজও যে অক্ষুণ্ণ রাখতে পারবে, তারাই হবে নতুন রানি। বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বের তিনম্যাচসহ চার ম্যাচে গোল দিয়েছে ২০টি। সাবিনার হ্যাটট্রিক আছে দুইটি। ৮ গোল করে তিনিই আছেন সবার উপরে। ৪ গোল করে তার পরের স্থানে আরেক বাংলাদেশি সিরাত জাহান স্বপ্না। নেপাল গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচসহ তিনম্যাচে গোল করেছে ১১টি। আজ সোমবারের (১৯ সেপ্টেম্বর) ফাইনাল হবে দুই দলের স্ট্রাইকারদের জন্য কঠিন পরীক্ষা। প্রতিপক্ষের রক্ষণে ফাটল ধরানো। এখানে যারা সফল হবে তারাই হাসবে বিজয়ের হাসি।
কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন মনে করেন তার ফরোয়ার্ডদের সেই সক্ষমতা আছে প্রতিপক্ষের ডিফেন্স ভাঙার। তিনি বলেন, ‘আমাদের মতো ওরাও এ পর্যন্ত কোনো গোল খায়নি। তার মানে ওদের ডিফেন্স ভালো। তবে ওদের ডিফেন্স ভাঙার মতো তো গতি আমাদের ফরোয়ার্ডদের সবার আছে। গতির সঙ্গে আত্মবিশ্বাসও আছে।’
অধিনায়ক সাবিনা খাতুনও আত্মবিশ্বাসী গোল বের করে নেওয়ার ব্যাপারে। তিনি বলেন, ‘আপনারাও দেখেছেন, স্বপ্না ওর সর্বোচ্চটা দিচ্ছে। আশা করি ফাইনালেও নেপালের রক্ষণে সে একটা চাপ সৃষ্টি করবে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও আপনারা দেখেছেন, কৃষ্ণা, সানজিদাও কতবার বল নিয়ে ওদের রক্ষণে ঢুকে পড়েছে। আমাদের ফরোয়ার্ডদের সামর্থ্য আছে ভালো করার।’
এমপি/এসএন