চেক দিলেও অ্যাকাউন্টে নেই টাকা, ফের ধোঁকা খেলেন রাজশাহীর ক্রিকেটাররা
রাজশাহীর দেয়া ব্যাংক চেক হাতে সেলফই তুলেছিলেন এনামুল হক বিজয় ও তার সতীর্থরা। ছবি: সংগৃহীত
এবারের বিপিএলে দুর্নামের অপর নাম দুর্বার রাজশাহী। আসর শুরুর আগে থেকে অনিয়মকে নিয়ম বানিয়ে চলছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।পারিশ্রমিক ইস্যুতে ফের চেক বাউন্সের শিকার ক্রিকেটাররা। চলছে দুর্বার রাজশাহীর নাটক।
রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচের আগে চেক দিলেও ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায় টাকা তুলতে পারেননি ক্রিকেটাররা। ফলে পরদিন সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে বেশির ভাগ বিদেশি মাঠে নামতে অস্বীকৃতি জানান। মাত্র ২ বিদেশি ক্রিকেটারকে নিয়ে একাদশ সাজাতে হয়েছে রাজশাহীকে।
একের পর এক দুর্নাম ছড়িয়ে যাচ্ছে দলটি। সবশেষ পারিশ্রমিক না দেয়ায় দলটার বিদেশি ক্রিকেটাররা অস্বীকৃতি জানান ম্যাচ খেলতে। আশ্বাসের পর আশ্বাস দিয়েও অর্থ পরিশোধ না করায় মাঠে যাননি ক্রিকেটাররা। বিপিএল ইতিহাসে যা ঘটেছে প্রথমবার। ক্রিকেট বোর্ডের বিশেষ অনুমোদনে শুধু মাত্র লোকাল ক্রিকেটারদের দিয়েই ম্যাচ খেলে রাজশাহী। যদিও সেই ম্যাচে আসরের সবচেয়ে সফল দল রংপুর রাইডার্সকে হারিয়েছে পদ্মা পাড়ের দলটি।
জানা গেছে, রোববার (২৬ জানুয়ারি) ম্যাচের আগে লোকাল ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের ব্যাংক চেক দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। পরদিন সোমবার সেই চেক ডিপোজিট করতে গিয়ে আবারো প্রতারিত হয়েছেন ক্রিকেটাররা। অ্যাকাউন্টে চেকের পরিমাণ অর্থ না থাকায় শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে তাদের। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্রিকেটাররা। এদিন অবশ্য শেষ ম্যাচ খেলতে এসেছেন ক্রিকেটাররা। মূলত বিসিবি তাদের আশ্বাস দেয়ায় ম্যাচ খেলছেন তারা।
তবে বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে ঝামেলার মিটমাট হয়নি। চার বিদেশি নিয়ে খেলার কথা থাকলেও তাই দুই জন নিয়ে খেলতে হচ্ছে তাদের। কারণ চেক নিয়ে তাদের দুয়ারে গিয়েও ফির এসেছেন মালিক পক্ষ।
শুধু ক্রিকেটারদের অর্থই নয়, জানা গেছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে হোটেল বিলও পরিশোধ করতে পারেনি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। যার কারণে ঢাকায় একটি হোটেলে উঠার পরও ম্যাচের দিন সকালে বদল করতে হয় হোটেল।
এমন পরিস্থিতিতে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের। ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে বিপিএল আয়োজনের দায়িত্ব দেয়ায় বোর্ড ও পড়েছে সমালোচনার মুখে। এবারের বিপিএলে বোর্ড বেশ কিছু ভালো উদ্যোগ নিলেও এই এক ফ্র্যাঞ্চাইজির কারণে ম্লান হয়েছে বোর্ডের প্রশংসনীয় কাজগুলো।