ব্রাজিলকে বাদ দিয়ে রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি করার কারণ জানালেন আনচেলত্তি
কার্লো আনচেলত্তি। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর কোচ খুঁজছিল ব্রাজিল। স্থায়ী কোচ নিয়োগ না দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন কোচদের নিয়ে কাজ চালাচ্ছিলো তারা। ব্রাজিলের ফুটবল ফেডারেশন- সিবিএফের সভাপতি বারবার বলছিলেন, তাদের অপেক্ষা মূলত কার্লো আনচেলত্তিকে ঘিরে। নতুন বছরে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে তিনি ব্রাজিলের দায়িত্ব নিতে পারেন বলে জোর গুঞ্জনও চলছিল। তবে সব জল্পনায় জল ঢেলে রিয়ালেই ২০২৬ পর্যন্ত থাকার নতুন চুক্তি করেন ইতালিয়ান কোচ। এমন সিদ্ধান্তের পেছনে অবশ্যই কারণ আছে ইতালিয়ান এই কোচের।
২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপে ব্যর্থ হওয়ার পর ব্রাজিলের দায়িত্ব ছাড়েন তিতে। এরপর গত এক বছরেও পূর্ণমেয়াদে কোনো কোচ নিয়োগ দেয়নি ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। কারণ কার্লো আনচেলত্তির জন্য অপেক্ষা। সিবিএফের সদ্য বরখাস্ত হওয়া সভাপতি এদনালদো রদ্রিগেজ তো প্রকাশ্যেই রিয়াল মাদ্রিদের ইতালিয়ান কোচকে ভেড়ানো নিয়ে কথা বলেন। আনচেলত্তিও কখনো বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করেননি। মনে হচ্ছিল, রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষে নতুন বছরেই নেইমার-রদ্রিগোদের কোচ হবেন আনচেলত্তি। তবে সম্ভাবনা বাস্তবায়ন হয়নি।
রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি বাড়িয়েছেন তিনি। গণমাধ্যমকে কার্লো আনচেলত্তি বলেন, ‘সবাই জানেন, ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের (সিবিএফ) সভাপতি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। যে শ্রদ্ধা ও আগ্রহ তিনি দেখিয়েছেন, সে জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
মূলত রিয়াল মাদ্রিদের প্রস্তাবের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আনচেলত্তি। ইতালিয়ান ম্যানেজারের কথায় ইঙ্গিত রয়েছে যে, লস ব্লাঙ্কোদের তরফ থেকে প্রস্তাব না পেলে ব্রাজিলেই যেতেন তিনি। আনচেলত্তি বলেন, ‘সবকিছু রিয়ালের জন্য ঝুলে ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে এদনালদো সিবিএফের সভাপতি পদে নেই। আর শেষ পর্যন্ত পার্থক্য হয়ে দাঁড়ায় ওই ব্যাটারই যেটা আমি চেয়েছি- রিয়ালে থেকে যাওয়া। আমি জানি না ২০২৬ সালে ব্রাজিল আমাকে চাইবে কি না এবং আমি এটাও জানি না তারা আমার সিদ্ধান্তে খুশি হবে কি না।’
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে দুটি চ্যাম্পিয়নস লীগ জেতা কোচ কার্লো আনচেলত্তি ২০২৮ সালেও সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতেই থাকতে চান। তিনি বলেন, ‘২০২৬ সালে থাকব কি না, সেটা নির্ভর করছে আমার পারফরম্যান্সের ওপর। হয়তো থাকতেও পারি। আমি রিয়ালের কোচ হিসেবে ২০২৭ ও ২০২৮ সালেও চালিয়ে যেতে চাই। কারণ আমি এখানেই থাকতে চাই।’