অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ
ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ। ছবি: সংগৃহীত
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের গত ৯ আসরে আটবার চ্যাম্পিয়ন ভারত। এর মধ্যে কেবল ২০১৭ সালে ফাইনালে উঠতে পারেনি তারা। সেইবার গ্রুপ পর্বে বিদায় নিয়েছিল দলটি। দশম আসরে এসে আরেকবার ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ তারা। তাদের নবম শিরোপার স্বপ্ন ভেঙে দিলো বাংলাদেশ।
এতে আসরে টানা চার জয় নিয়ে অপরাজিত থেকেই শিরোপা নির্ধারনী মঞ্চে পৌঁছাল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি গ্রাউন্ডে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় ভারত ও বাংলাদেশের যুবারা। ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করে ৪২.৪ ওভারে ১৮৮ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট ও ৪৩ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মাহফুজুর রহমানের দল।
ভারতের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন আশিকুর রহমান ও জিশান আলম। ইনিংসের প্রথম ওভারে এ জুটিতে আঘাত হানেন রাজ লিম্বানি। তার বলে শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরেন জিশান।
এরপর নিয়মিত ব্যবধানে মোহাম্মদ রিজওয়ান (১৩) ও আশিকুর রহমানকেও (৭) হারায় টিম টাইগার্স। লক্ষ্য তাড়ায় গুরুত্বপূর্ণ তিন ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। পরে আহরার আমিনকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন আরিফুল ইসলাম। এ জুটির ব্যাটেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। তাদের দুজনের ব্যাট থেকে ১৩৮ রান। যা এই টুর্নামেন্টে যে কোনো উইকেটের সর্বোচ্চ জুটি।
আহরার-আরিফ জুটিতে জয়ের পথেই ছিল টাইগাররা। তবে ম্যাচের ৩৮তম ওভারে এ জুটিতে আঘাত হানেন রাজ। এতে সেঞ্চুরির পথে থাকা আরিফুল ফেরেন ৯৪ রানে। এরপর উইকেটে আসেন মোহাম্মদ শিহাব জেমস। তবে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন তিনি। উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন জেমস (৯)। শেষমুহূর্তে উইকেট বিলিয়ে দেন আহরার আমিনও (৪৪)। দারুণ ব্যাট করতে থাকা এ বাঁ-হাতিকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান নামাম তিওয়ারি।
পরে জীবনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন টাইগার অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন নামান তিওয়ারি। এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ভারতীয় যুবারা। টাইগারদের বোলিং তোপে ৬১ রানের আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। তবে মুশের খান ও মুরুগান অভিষেকের জোড়া ফিফটিতে লড়াকু পুঁজি পায় ভারত।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে যখন দিশেহারা তখন ভারতের হাল ধরেন মুশের খান ও মুরুগান অভিষেক। তাদের জুটিতে ভর দিয়েই বিপদ সামলে এগোতে থাকে দলটি। তবে ফিফটির পরই সাজঘরে ফেরেন মুশের। এরপর আবার খেই হারিয়ে ফেলে তারা।
অন্যপ্রান্তে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে ফিফটি করেন অভিষেক। সেই সঙ্গে দলীয় রানের চাকাও সচল রাখেন। কিন্তু মারুফ মৃধার আঘাতে তিনি সাজঘরে ফিরলে রানের চাকা থেমে যায় মেন ইন ব্লুজদের। শেষ পর্যন্ত ১৮৮ রানে থামে ভারতের ইনিংস। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন মারুফ মৃধা।