আফগানিস্তানের বিপক্ষে মনের মতো উইকেট বানাবে বাংলাদেশ
আফগানিস্তান টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছিল ২০১৭ সালে। সঙ্গে ছিল আয়ারল্যান্ডও। এরপর তারা বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলেছিল ২০১৯ সালে চট্টগ্রামে। বাংলাদেশ টেস্ট মানেই বাংলাদেশের শক্তির জায়গা স্পিন নির্ভর উইকেট। আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম হয়নি।
স্পিন নির্ভর উইকেট বানিয়ে বাংলাদেশ একাদশে কোনও পেসারই রাখেনি। সাকিবের নেতৃত্বে চার প্রতিষ্ঠিত স্পিনার দিয়ে সাজিয়েছিল বোলিং আক্রমণ। বাকিরা ছিলেন তাইজুল-মিরাজ-নাঈম। তাদের সঙ্গে অকেশনাল বোলার হিসেবে হাত ঘুরিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ-মুমিনুল-মোসাদ্দেকও।
অপরদিকে, আফগানিস্তান রশিদ খানের লিগ স্পিনসহ মোহাম্মদ নবী, কাইস আহমেদ, জহির খানের আক্রমণ ভাগ ছিল আরও বেশি শক্তিশালী। সেই প্রমাণ তারা মাঠেই দিয়েছিল ২২৪ রানে ম্যাচ জিতে।
দুই দলই অলআউট হয়েছিল। আফগানিস্তানের ২০ উইকেটের ১৯টিই নিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। অপর উইকেটটি ছিল রানআউট। বাংলাদেশের ২০ উইকেটের একটি মাত্র নিয়েছিলেন পেসার ইয়ামিন আহমদজাই। বাকি ১৯টি ছিল তাদের স্পিনারদের। যেখানে রশিদ খান একাই নিয়েছিলেন ১১টি। প্রথম ইনিংসে ৫টি, দ্বিতয়ি ইনিংসে ৬টি। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ২০৫ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিল ১৭৩ রান। আফগানিস্তানের দুই ইনিংসে রান ছিল যথাক্রমে ৩৪২ ও ২৬০।
বর্তমানে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ খুবই স্বয়ংপূর্ণ। ২০২২ মালে মাউন্ট মঙ্গনুইয়ে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটে জয়ে পেসারাদের ভুমিকা বেশি ছিল। চলতি বছর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে ৭ উইকেটে জয়ে ছিল স্পিনারদের সঙ্গে পেসারদেরও ভুমিকা। এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে কেমন উইকেট হবে? এ প্রশ্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ঘুরছে ক্রিকেট আঙ্গিণায়।
বাংলাদেশ কী ঘরের মাঠে তাদের মূল শক্তি স্পিন নির্ভর উইকেট করবে। কিন্তু এমন উইকেট করলে আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণতো আরও বেশি শক্তিশালী। তাহলে কেমন হবে উইকেট। এ রকম প্রশ্ন ছুটে গিয়েছিল আজ মিরপুরে নির্বাচক কমিটির সদস্য হাবিবুল বাশারের দিকে। তিনি জবাব দিলেন কূটনীতিকের মতো।
তিনি বলেন, ‘আমাদের তো প্ল্যান আছেই। আমরা আমাদের প্ল্যান নিয়ে যথেষ্ট পরিষ্কার। আমরা আসলে কেমন উইকেট চাই, কেমন উইকেটে খেলতে চাই, সেটা আমাদের কাছেই থাকুক। কারণ, অবশ্যই কোনো খেলার আগে তো আমরা ডিসক্লোজ করব না। মিরপুরের উইকেট কেমন হতে পারে না পারে সেটা সমন্ধে আমাদের খুব ভালো ধারণা আছে। সেভাবেই আমাদের মনের মতো করে উইকেট তৈরি করা হচ্ছ।’
দলের বোলিং আক্রমণের ব্যাখ্যা দিয়ে হাবিবুল বাশার বলেন, ‘যদি আমাদের দলটা দেখেন বাংলাদেশ দল দুইটা ডিপার্টমেন্টেই ভালো। সাকিবের বোলিং তো বাংলাদেশ ডেফিনেটলি মিস করবে। বাট সাকিব ছাড়া তাইজুল আছে, মিরাজ আছে, তারাও কিন্তু যথেষ্ট ভালো বল করে টেস্ট ম্যাচে। আমাদের ফাস্ট বোলিং ডিপার্টমেন্টটা অনেক ভালো। সো আমাদের যে রকম দরকার, টিম অনুযায়ী কিন্তু ওইরকম সিদ্ধান্ত নিতে পারি। সেটা নিয়ে অনেক আগেই চিন্তা ভাবনা হয়ে গেছে।’
এমপি/এমএমএ/