বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বাংলাদেশের ক্রিকেটকে শক্তিশালী করতে চান ডেভিড হেম্প

জাতীয় দলের পাইপ লাইন সমৃদ্ধ করার জন্য খেলোয়াড় সরবরাহ যাতে মানসম্পন্ন হয়, তার প্ল্যাটফর্ম হলো এইচপি বা হাই পারফরম্যান্স ক্যাম্প। জাতীয় দল ও এর আশপাশে থাকা ২৫ ক্রিকেটারকে নিয়ে বুধবার (২৪ মে) থেকে শুরু হয়েছে এবারের ক্যাম্প। এই ক্যাম্প হবে তিন ভাগে। ২৪ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত মিরপুরে অনুষ্ঠিত হবে ফিজিক্যাল ট্রেনিং। ১ থেকে ৮ জুন রাজশাহীতে হবে স্কিল ট্রেনিং। এরপর শেষ ধাপ অনুষ্ঠিত হবে বগুড়ায় ৯ থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত। এবারের ক্যাম্পে দেখাশোনা করার জন্য কোচ হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে বারমুডায় জন্মগ্রহণ করা ইংল্যান্ডের কাউন্টি খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ডেভিড হেম্পকে।

ডেভিড হেম্প বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলার। তার জন্ম ১৯৭০ সালের ৮ নভেম্বর বারমুডার হ্যামিল্টনে। তিনি কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লামারগন ও ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে খেলেছেন। ১৯৯১ সালে যোগ দেন গ্লামারগনে। ওয়ারউইকশায়ারে খেলা শুরু করেন ১৯৯৭ সালে। এরপর আবার গ্লামারগনে ফিরে আসেন ২০০২ সালে। ইংল্যান্ড জাতীয় দলে কখনো খেলার সুযোগ না পেলেও ‘এ’ দলের হয়ে ১৯৯৪-৯৫ সালে ভারত ও বাংলাদেশ সফর করে গেছেন।

ইংল্যান্ড জাতীয় দলে খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ দেখে তিনি ফিরে যান নিজ দেশে বারমুডায়। ২০০৬ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে একদিনের ও ২০০৮ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়। ২২টি একদিনের ম্যাচ খেলে তিনি রান করেন ৬৪১। ২০০৯ সালে পচেফস্ট্রুমে কেনিয়ার বিপক্ষে অপরাজিত ১০২ রানের একটি ইনিংসও আছে তার। হাফ সেঞ্চুরি ছিল ৪টি। বল হাতে উইকেট ছিল ১টি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ম্যাচ খেলে মাত্র ২টি। রান করেছিলেন ২০। এটিই ছিল তার সর্বোচ্চ রান। এই ২ ম্যাচে তিনি কোনো বোলিং করেননি।

২০০৭ সালে তিনি বারমুডার হয়ে উইন্ডিজে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটও খেলেছেন। বারমুডা ছিল বাংলাদেশের গ্রুপে। দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি ভারতের বিপক্ষে অপরাজিত ৭৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১৪ রান করার পর বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে কোনো রান করতে পারেননি।

৫২ বছর বয়সী ডেবিড হেম্প প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেছেন ২৭১টি ম্যাচ। ৪৬২ ইনিংসে ব্যাট করে রান করেছিলেন ১৫ হাজার ৫২০। ৩০টি সেঞ্চুরি আর ৮৬টি হাফ সেঞ্চুরি এসেছিল তার ব্যাট থেকে। সর্বোচ্চ রান ছিল অপরাজিত ২৪৭। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৩০৯ ম্যাচের ২৭৮ ইনিংসে ব্যাট করে রান করেছিলেন ৬ হাজার ৮৪৪। ৮টি সেঞ্চুরি আর ৩৪টি হাফ সেঞ্চুরির মাঝে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল অপরাজিত ১৭০। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন ৬৩টি। রান করেছিলেন ১ হাজার ৩৬৭। ৭৪ রানের ইনিংস ছিল তার সর্বোচ্চ। ২০১৩ সালে তিনি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। এরপর জড়িত হন কোচিংয়ে।

এইচপি দলের দায়িত্ব নেওয়ার আগে হেম্প পাকিস্তান নারী দলের প্রধান কোচের হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। এইচপি ক্যাম্পে তিনি প্রধান কোচের পাশাপাশি ব্যাটিং কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন। তাকে সহায়তা করার জন্য বোালিং কোচ হিসেবে ডলার মাহমুদ, ফিল্ডিং ও উইকেটকিপিং কোচ হিসেবে গোলাম মোর্তজা দায়িত্ব পালন করবেন। জাতীয় দলের সাবেক কম্পিউটার অ্যানালাইসিস্ট নাসির আহমেদ নাসুও থাকবেন এই কাজে। এ ছাড়া তুষার কান্তি হাওলাদার ট্রেনার, খাদেমুল ইসলাম শাওন ফিজিও কো-অর্ডিনেটর, খায়রুল ইসলাম ফিজিও। মনোবিদ হিসেবে থাকছেন ডেভিড স্কট।

মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ এসে বুধবার সকালেই ডেভিড হেম্প নেমে পড়েন কাজে। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে আসার পর তিনি এইচপি ইউনিটের প্রধান বিসিবি পরিচালক নাঈমর রহমান দূর্জয়ের (এমপি) সঙ্গে মিটিং করেন। পরে পরিচিত হন খেলোয়াড়দের সঙ্গে। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন, প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, নির্বাচক কমিটির সদস্য হাবিবুল বাশার সুমন।

প্রথম দিনের কোচিং শেষে গণমাধ্যমে কথা বলতে এসে ডেভিড হেম্প বলেন, ‘আমরা এখানে এমন একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিচ্ছি, যেখানে খেলোয়াড়রা শিখতে শিখতে যাবে পরের ধাপে। যাতে তারা একটা পর্যায়ে গিয়ে জাতীয় দলে ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা তাদের সেই লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখতে চাই। বাড়াতে চাই গভীরতা।’

ডেবিড হেম্প চান খেলোয়াড়দের এমনভাবে গড়ে তুলতে, যাতে করে তারা বিশ্বের সব কন্ডিশনের সঙ্গে নিজেদের মানিযে নিতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্রিকেটারদের এমনভাবে প্রস্তুত করব, যাতে করে তারা বিশ্বের যেকোনো কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। খেলতে পারে।’

তিনি চান জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের চাহিদা মাফিক খেলোয়াড় তৈরি করতে। হেম্প বলেন, ‘আমরা দেখব জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা কী রকম খেলোয়াড় চাচ্ছেন, স্কিলের কমতি আছে কি না। এজন্য তাদের এই ক্যাম্পে নেওয়া হয়েছে।’

ডেবিড হেম্প ২৫ জনের খেলোয়াড় পেয়েছেন সব ধরনের। এখানে যেমন তরুণ ক্রিকেটার আছে, তেমনি জাতীয় দলে খেলা খেলোয়াড়ও আছে। তিনি বলেন, ‘এখানে অনেক সমন্বয় করতে হবে। এই দলের অনেকে জাতীয় দলে খেলে কিংবা খেলেছে। ৮-৯ জন খেলছে ‘এ’ দলে। এখানে মূল পার্থক্য হচ্ছে বয়সের। আমরা পেয়েছি তরুণ গ্রুপটাকে। আশা করি তাদের দ্রুত উপরের দিকে নিতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘যদি সম্ভব হয় তাহলে যেন আমি জাতীয় দলে তরুণ ক্রিকেটারদের দিতে পারি। কিংবা নির্বাচকরা যাতে করে তাদের দিকে দৃষ্টি দিতে পারেন, সে রকম পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া।’

বাংলাদেশে আসার আগে ডেভিড হেম্প চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে কথা বলেছেন কয়েকমাস আগে। সিডন্সের সঙ্গে তার কথা হয়নি এখনো। শিগগির তার সঙ্গে তিনি কথা বলবেন বলে জানান। হেম্প চান তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই বাংলাদেশকে র‌্যাঙ্কিংয়ের উপরের দিকে নিয়ে যেতে। একই সঙ্গে তার ইচ্ছে র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশে বাংলাদেশের কয়েকজন ক্রিকেটারকে দেখতে।

এমপি/এসজি

Header Ad

স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দিনভর সিলেটে বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালা শেষে বিকালে সমাপনী বক্তব্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, দেশের মানুষ বিএনপির সঙ্গে রয়েছেন। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব বিএনপি নেতাকর্মীদের।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। দল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে বাংলাদেশকে কোনো হুমকি থেকে রক্ষা করতে হলে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হবে।

সিলেট শিল্পকলা একাডেমিতে সকাল থেকে শুরু হওয়া রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালায় অংশ নেন সিলেট বিভাগের পাঁচ ইউনিটের নেতারা।

কর্মশালায় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউসের সভাপতিত্বে ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদানকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীসহ কয়েকজন নেতার ৩১ দফা কর্মসূচির ওপর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

প্রশিক্ষণে প্যানেল আলোচক ছিলেন- ডা. মওদুদ আলমগীর, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহবায়ক ডা. মহিউদ্দিন আলমগীর পাবেল, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা হাবিবা, সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আলি, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু।

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আনিসুর রহমান তালুকদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও মিফতাহ্ সিদ্দিকী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাহসিনা রুশদির লুনা, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-সম্পাদক শাম্মী আক্তার ও আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবান ফজলুল হক ময়ুন, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব।

সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই ঢাকায় গত দুই দিনের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই। আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে শক্তি, দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।

নেতাকর্মীদের প্রতি তারেক রহমান বলেন, মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। মানুষের আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব আপনার।

তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করা সব দলের পক্ষ থেকে ৩১ দফা ঘোষণা করা হয়েছে। এটির মধ্যে রাষ্ট্রকাঠামোর অধিকাংশই আছে। আরও যত প্রস্তাব আসবে তা যুক্তিসংগত হলে যুক্ত করা হবে। আজকে বিভাগ পর্যায়ে ৩১ দফা নিয়ে আলোচনার পর জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। বইয়ে অনেক কিছু সুন্দরভাবে লিখা থাকে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে হয় মানুষকে। তাই ভালো নিয়ত নিয়ে ভালো নিয়ত থাকলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলার পথে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিগত ১৬ বছরে বহু মানুষ গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। জুলাই-আগস্টে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ শহিদ হয়েছেন। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে এ প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন সম্ভব। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে বজায় রাখলে জবাবদিহিতা তৈরি হবে। এজন্য যেকোনো মূল্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখব।

Header Ad

সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ

ছবি: সংগৃহীত

পরাজয়ের মঞ্চ প্রস্তুত হয়েই ছিল। দেখার ছিল টেস্টের শেষ দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঠিক কতটা অপেক্ষায় রাখতে পারে বাংলাদেশ। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ক্যারিবীয়দের। দ্রুতই সফরকারীদের গুটিয়ে বড় রনের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

অ্যান্টিগা টেস্টের শেষ দিনে আজ মঙ্গলবার মেহেদী হাসান মিরাজের দল হারের ব্যবধান কতোটা কমাতে পারে সেটাই ছিল দেখার। কিন্তু ৩ উইকেট নিয়ে লড়তেই পারলেন না ব্যাটাররা। দিনের খেলা শুরুর ৪০ মিনিটের মধ্যেই জয় নিশ্চিত করে ফেলে উইন্ডিজ।

অ্যান্টিগা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতল ২০১ রানে। একইসঙ্গে ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। জ্যামাইকায় ৩০ নভেম্বর সিরিজের ২য় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।

আগের দিন জয়ের জন্য ৩৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১০৯ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। আর আজ ২ উইকেট হারাতেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। শরিফুল ইসলাম চোটে থাকায় ব্যাট করতে করতে পারেন নি। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে তিনি ড্রেসিংরুমে।

কাঁধে আঘাত পাওয়ার ব্যাটিং চালিয়ে যেতে পারেননি শরিফুল। তাতেই ৯ উইকেটে ১৩২ রানে থামল বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। হাতে ১ উইকেট থাকলেও বাংলাদেশ হার মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়ে। আগের দিন ১ উইকেট হাতে থাকলেও ১৮১ রানে পিছিয়ে থেকে ইনিংস ঘোষণা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

আজ টেস্টের প্রথম দিনে উইকেটে আসা-যাওয়ার দায়টুকু সারতেই যেন মাঠে নামল বাংলাদেশ ব্যাটাররা। ৪০ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে শেষ ইনিংস। খেলতে পারল মাত্র ৭ ওভার। আগের দিনের রানের সঙ্গে যোগ করতে পারল মাত্র ২৩ রান।

জাকের আলি ফিরে গেলেন ৩১ রানে। আগের দিন মিরাজ করেন ৪৫ রান। এ নিয়ে টানা তিন সফরে অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টে হারল বাংলাদেশ দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা পঞ্চম হার দেখল দলটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪৫০/৯ ডিক্লে.
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৬৯/৯ ডিক্লে.
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ১৫২/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৩৮ ওভারে ১৩২/১০ (জাকের ৩১, হাসান ০, তাসকিন ৪*, শরিফুল ১ আহত আউট; রোচ ৮-১-২০-৩, সিলস ১৩-৩-৪৫-৩, শামার জোসেফ ৬-১-২২-১, আলজারি জোসেফ ৮-১-৩২-২, গ্রেভস ৩-১-১২-০)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০১ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
পরবর্তী টেস্ট: ৩০ নভেম্বর, জ্যামাইকায়

Header Ad

আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি লেখেন, জনগণকে শান্ত থাকার এবং অপ্রীতিকর কার্যকলাপে অংশ নেওয়া থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে বন্দর নগরীসহ সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

যেকোনো মূল্যে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে ও সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন ড. ইউনূস।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সৃষ্ট সংঘর্ষে নিহত হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। নিহত আলিফ (৩৫) সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি)। সাইফুল লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে তার অনুসারীরা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহত শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে মৃত ঘোষণা করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন
শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়