বিশ্বকাপের দল নিয়ে বিসিবি সভাপতির ধারণা
ওয়ানডে সুপার লিগ খেলে বাংলাদেশ অনেক আগেই বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। সর্বশেষ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ছিল বাংলাদেশের জন্য শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। তারপরও এই সিরিজ থেকে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ তিনে থেকে বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছে।
বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ মূল আসরের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে। দলে শুরু হয়েছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজ পর্যন্ত। তারপর এশিয়া কাপের দলটি হবে অনেকটা বিশ্বকাপের ছায়া দল। যে কারণে এখন বিসিবি সভাপতি, ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান, কোচ, প্রধান নির্বাচক, ওয়ানডে অধিনায়ক, মিডিয়ার সামনে আসলেই বিশ্বকাপের দল নিয়ে করা প্রশ্নের জবাব দিতে হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জন্ড ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় পুরস্কার প্রদান শেষে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছে। যেখানে তিনি বিশ্বকাপের দল নিয়ে একটা ধারণাও দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন তামিম, লিটন, শান্ত, হৃদয়, মুশফিক, সাকিব এই ছয়জনের মধ্যে কাউকে তো আপনারা বাদ দিবেন বলে মনে হয় না। ওপেনিংয়ে নাঈম শেখ ও এনামুল হক বিজয় তারাও ভালো পারফর্ম করছে, তারাও আসতে পারে। কে আসবে আমি জানি না। আমার পর্যবেক্ষণ বলছিল। আমার ধারণা ওপেনিংয়ে (বাড়তি) একজনকে তারা নেবে। ইনজুরির জন্য ব্যাকআপ লাগবে।’
এর আগে বিসিবি সভাপতি সাংবাদিকদের রসিকতা করে বলেন, ‘আপনারা এখানে যারা আছেন তারা ক্রিকেট সম্পর্কে প্রত্যেকেই, আমার চেয়ে বেশি জানেন, এমন বহু লোক আছেন। আমি চিন্তা করছি আপনাদের কাছে নাম চাইব যে সেরা একাদশ তৈরি করে দেন। তারপর দেখি আপনারা কী বলেন। এটা হলে ভালো হয় না? জানতে তো পারলাম।’
বোলিং বিভাগ নিয়ে পাপন বলেন, ‘আমার ধারণা তিন পেসার খেলবে নিশ্চিত। সাকিব যদি খেলে একটা স্পিনার খেলবে। পাঁচ বোলার ছাড়াতো বিশ্বকাপে খেলবেন না। হাসান আছে, তাসকিন, শরিফুল, ইবাদত,মোস্তাফিজ আছে। যে কেউ খেলতে পারে। চারজন পেসারও খেলতে পারে। যদি তিনজন স্পিনার নিয়ে খেলে তাহলে মানে ছয় বোলার নিয়ে খেলতে চায়। তাহলে বাড়তি স্পিনার লাগবে। বাড়তি থাকে একটা জায়গা। সেখানে আছে মেহেদী হাসান মিরাজ। আমার মনে হয় না কেউ বলবে মিরাজকে বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়া উচিত।’
বিসিবি সভাপতি যাদের নাম বলেছেন তা অনেকের ধারণার সঙ্গেই মিলে যাবে। কিন্তু একটি জায়গা নিয়ে এখনো কাজ চলছে। হয়নি চূড়ান্ত। সেটি হলো ফিনিশার বা সাতে কে খেলবে? এখানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলীর নাম খুব জোরালোভাবে উচ্চারিত হচ্ছে। আজ বিসিবি সভাপতি এই নামগুলো বলার পাশাপাশি নতুন করে এবারের প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের নামও বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘অলরাউন্ডার চাইলে আফিফ, মোসাদ্দেক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও আছে। সেও বল করে দিতে পারব। রিয়াদ ভালো বল করে, আমি দেখেছি, ঘরোয়া ক্রিকেটেও ও ভালো। পার্থক্যটা হচ্ছে শুধু ফিল্ডিংয়ে। ভালো ফিল্ডিং চাইলে এই তিনজনের মধ্যে আফিফ সবার উপরে। মোসাদ্দেকও রিয়াদের চেয়ে ভালো হতে পারে।’
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘অভিজ্ঞতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমরা যাদের সঙ্গে খেলছি আর বিশ্বকাপে যাদের সঙ্গে খেলব, দুটোর পরিস্থিতি কিন্তু এক না। তাই ব্যাপারটা কঠিন।’
এমপি/এসজি