চারদিনের প্রথম ম্যাচের প্রথম দিন উইন্ডিজের
চারদিনের প্রথম ম্যাচের প্রথম দিনই ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় নিজেদের অবস্থানকে পাকাপোক্ত করে নিয়েছে সফরকারী উইন্ডিজ ‘এ’ দল। দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২২০ রান। তাদের এই সংগ্রহ আরও বড় হতে পারত। কিন্তু বৃষ্টির কারণে তা সম্ভব হয়নি। খেলা হয়েছে ৬৮ ওভার।
সাবেক উইন্ডিজ ক্রিকেটার শিবনারায়ন চন্দরপলের ছেলে তেজনারায়ন চন্দরপল আছেন সেঞ্চুরির অপেক্ষায়। ৭০ রান নিয়ে তিনি দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামবেন। তার সঙ্গে ৩৫ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামবেন অ্যালিক আথানাজে।
দুই দলকেই জাতীয় দলের ছায়া দল বলা যায়। সেখানে উইন্ডিজের ক্রিকেটাররা নিজেদের প্রমাণ দিতে পারলেও বাংলাদশের বোলাররা তা পারেননি। যে কারণে ২২ গজে ছিল উইন্ডিজদের স্বাচ্ছন্দ্য বিচরণ। উইকেটে যে চার ব্যাটসম্যানই এসেছেন তারাই রানের দেখা পেয়েছেন।
বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে ছিলেন জাতীয় দলের রেজাউর রহমান রাজা, নাঈম হাসান ও রিশাদ হাসান। সঙ্গে ছিলেন আফিফ হোসেন ও সাইফ হাসান। এ ছাড়া বল হাতে নিয়ে ঘুরিয়েছেন আগামীর সম্ভাবনাময় দুই বোলার রিপন মন্ডল ও মুশফিক হাসান। কিন্তু তারা সফরকারীদের জন্য আতঙ্ক হয়ে উঠতে পারেননি।
সিলেট বিভাগীয় আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে অধিনায়ক জসুয়া ডি সিলভা ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়াকে অর্থবহ করে তুলেন দুই ওপেনার তেজনারায়ন চন্দরপল ও কির্ক ম্যাকেঞ্জি। জুটিতে তারা ১৩০ রান এনে দিয়ে দলের বড় সংগ্রহের পথ দেখিয়ে দেন। সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে ম্যাকেঞ্জি ১২৪ বলে ১ ছক্কা ও ১২ চারে ৮৬ রান করে আউট হন ষষ্ঠ বোলার হিসেবে বল হাতে তুলে নেওয়া সাইফ হাসানের বলে নাঈম হাসানের হাতে ধরা পড়ে। সাইফ হাসান মূলত ওপেনিং ব্যাটসম্যান। তিনি নিয়মিত বোলিং করেন না। দলের প্রয়োজনে হাত ঘুরিয়ে থাকেন। তিনিই দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন।
ওয়ান ডাউনে আসা রেমন রেফার খুব বেশি সময় টিকতে পারেননি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩০ রান আসার পর তিনি আউট হয়ে যান। এই ৩০ রানের ২৬ রানই ছিল তার। বল খেলেন ৪২টি। বাউন্ডারি ছিল ৪টি। তাকে আউট করেন মুশফিক হাসান। তার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ ধরেন জাকের আলী। এরপর দিনের বাকি সময় পার করে দেন তেজনারায়ন ও অ্যালিক অ্যাথানাজে। দুই জনে বৃষ্টি আসার আগ পর্যন্ত তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬০ রান যোগ করে অবিচ্ছিন্ন থাকেন। তেজনারায়ন ১৯০ বলে ৫ চারে ৭০ ও অ্যালিক ৫২ বলে ৬ চারে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন। সাইফ হাসান ১৪ ও মুশফিক হাসান ১৫ রানে ১টি করে উইকেট নেন।
এমপি/এসজি