শেষ ওয়ানডেতেও বাংলাদেশের যুবাদের বড় হার
চারদিনের একমাত্র ম্যাচ হারের পর ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও বাংলাদেশের যুবারা আগেই হেরে গিয়েছিল পাকিস্তানের যুবাদের কাছে। শেষ ম্যাচে দেখার বিষয় ছিল ব্যবধান কমিয়ে আনতে পারে কি না। কিন্তু তা পারেনি। যথারীতি হেরেছে এবং তা আগের মতোই বড় ব্যবধানে। শেষ ম্যাচে তাদের হারের ব্যবধান ৮০ রানের।
পাকিস্তান আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৪৪ রান করে। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ ৩৬.৩ ওভারে মাত্র ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। একমাত্র তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচই বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জিতেছিল। বাকি সবকটি ম্যাচেই হেরেছে বিনা লড়াইয়ে। দুই দেশের সিরিজের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল ১৭ মে রাজশাহী শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের ইনিংস গড়ে উঠে দুই ওপেনার আজান ওয়াইজ ও শাহজিব খানের ব্যাট করে। সিরিজে ধারাবাহিক রান করে যাওয়া শাহজিব খান এবার আউট হন ৬৭ রানে করে। আজান আউট হন ৪১ রানে। দুইজনের উদ্বোধনী জুটিতে রান আসে ৮৮। প্রথমে আউট হন আজান। শাহজিব আউট হওয়ার আগে তারা দ্রুত ২ উইকেট হারায়। আউট হন ওয়াব রিয়াজ ৩ ও অধিনায়ক নাদ বেগ ৪ রান করে। দলীয় ১৩১ রানে জিসানের বলে শাহজিব বোল্ড হওয়ার পর হামজা নাওয়াজ ও আরাফাত মিনহাজ দলের রান বাড়িয়ে নিয়ে যান। দুইজনে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৭৫ রান যোগ করেন। আরাফাত ৪০ রান করে আউট হয়ে যান। এরপর হামজা একাই রান বাড়িয়ে নিয়ে যান ২৪৪ পর্যন্ত। ইনিংসের শেষ বলে তিনি ৭২ রান করে মাহফুজুর রহমান রাব্বির চতুর্থ শিকার হন। হামজা ৭৬ বলে ৩ ছক্কা ও চারে তার ইনিংস সাজিয়ে ছিলেন। মাহফুজুর রহমান ৪২ রানে নেন ৪ উইকেট। ৪৭ রানে ২ উইকেট নেন আকন্ত শেখ।
জবাব দিতে নেমে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় লড়াই-ই করতে পারেনি। দলের পক্ষে মাত্র ৩ জন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করতে পারেন। মোহাম্মদ সিহাব জেমস ৫৬, আবরার আমিন ৫৩ ও জিসান আলম ১৪ রান করা ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি।
বাংলাদেশ দল শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। ৩৮ রানেই হারায় ৪ উইকেট। পঞ্চম উইকেট জুটিতে অধিনায়ক আবরার আমিন ও মোহাম্মদ সিহাব জেমস ৮৩ রান যোগ করে দলকে আবার লড়াইয়ে নিয়ে আসেন। আজহার আমিন ৫৮ বলে ১ ছক্কা ও ৮ চারে ৫৩ ও জেমস ৭৯ বলে ৯ চারে ৫৬ রান করে আউট হলেও আর কেউ রান করতে না পারলে বাংলাদেশের বড় হার নিশ্চিত হয়ে যায়। বাংলাদেশ ১৬৪ রানেই হারায় ৪ উইকেট। আরাফাত মিনহাজ ২০ ও আলী আসফান্ড ২৪ রানে নেন ৩টি করে উইকেট। সাজ্জাদ আলী ৩৪ রানে নেন ২টি উইকেট।
এমপি/এসজি