‘বিশ্বকাপের দল নিয়ে এখনো কাজ চলছে’
অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলা বাংলাদেশ অনেক আগেই নিশ্চিত করেছে। যে কারণে বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত ম্যাচগুলোকে প্রস্তুতি হিসেবে নিয়েছে। যার মাধ্যমে সব ধরনের দুর্বলতা যাতে কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়। তাই চলছে সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা। চলবে এশিয়া কাপের আগ পর্যন্ত। টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে জানানো হয়েছে এশিয়া কাপের দলই হবে অনেকটা বিশ্বকাপের দল।
বিশ্বকাপের প্রস্তুতির এই ধারাবাহিকতায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে কন্ডিশনের কথা বিবেচনা করে প্রথম দুই ম্যাচে কোনো পরীক্ষা-নিরাক্ষা করা না হলেও শেষ ম্যাচে গিয়ে একাদশে তিন পরিবর্তন এনে ঠিকই আবার যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এরপর এশিয়া কাপের আগে শুধুমাত্র আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ পাবে যাচাই-বাছাই করার।
মোটামুটি বিশ্বকাপের দল গুছিয়ে আনা হয়েছে। যে একটি পজিশন নিয়ে কাজ করা হচ্ছে অর্থাৎ ফিনিশার বা সাত নম্বর পজিশনে ব্যাটিং, সেখানে এখনো চূড়ান্ত জায়গায় যেতে পারেনি দল। চলছে কাজ। আরেকটি তৃতীয় ওপেনার।
ফিনিশারের সন্ধান পেতে নির্বাচকরা প্রথমে মাহমুদউল্লাহ, পরে আফিফ হোসেনকে নির্বাসনে পাঠান। ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডর বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে ইয়াসির আলী রাব্বিকে দিয়ে পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু তিনি ফেল করেন ১৭ ও ৭ রানের ইনিংস খেলে। তৃতীয় ম্যাচে তাকে বাদ দেওয়া হয়। সেই ম্যাচে সাতে নম্বরে কাউকে ব্যাটিং করতে হয়নি বাংলাদেশ ১০ উইকেটে ম্যাচ জেতায়। তারপওর ইয়াসির আলীকে আরও একটু বাজিয়ে দেখতে আয়ার্যান্ডের বিপক্ষে এবার ইংল্যান্ড সফরেও রাখা হয়। কিন্তু তাকে খেলানো হয়নি। তিনটি ম্যাচেই মিরাজ সাতে ব্যাটিং করেন।
এখন আর সময়ও খুব বেশি নেই। ম্যাচের হিসেবে এশিয়া কাপের আগে শুধুমাত্র আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ। তারপর বিশ্বকাপের ছায়া দল পাওয়া যাবে এশিয়া কাপে। তামিম জানালেন, তারা দুইটি জায়গা নিয়ে কাজ করছেন। একটি তৃতীয় ওপেনার, আরেকটি ফিনিশার বা ৬/৭ নম্বর পজিশনে।
৬/৭ নম্বর পজিশন নিয়ে তামিম ইকবাল বলেন, এই দলটাকে আমি বলতে পারব না যে এটি বিশ্বকাপের দল। এখনো আমরা ১/২টি স্লট নিয়ে এখনো ভাবছি যে কে সেরা। এখানে আফিফ আছে। ইয়াসির আছে। আমি মনে করি দুভার্গ্য, সে এখানে কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি। এখানে রিয়াদ ভাই আছে। এখান থেকে যে আমাদের কাছে সেরা মনে হবে, আমরা তাকেই বিবেচনা করব। যে কেউ হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, রিয়াদ ভাইয়ের অনেক অভিজ্ঞতা আছে। সে আমাদের বড় ভাবনায় আছে। আফিফের ব্যাটিং আমি খুবই উপভোগ করি। একই কথা প্রয়োজ্য ইয়াসিরের ক্ষেত্রে। এখান থেকে যারা আমাদের দলকে সুট করবে, আমরা ওখান থেকেই নেব।
তিনি বলেন, এটা নিয়ে আমাদের মাঝে অনেক আলাপ হয়। আমার অংশ এমন না যে আমি এক নেব না বা একে নেব। যে দলের জন্য কাজ করতে পারবে, আমরা তাকেই নেব। সামনে এশিয়া কাপ। তখনই আপনারা দেখতে পাবেন বিশ্বকাপের দলটা কেমন হবে?
তৃতীয় ওপেনারের সন্ধান থেকেই তৃতীয় ম্যাচে রনি তালুকদারের অভিষেক ঘটিয়ে তাকে ইনিংসের উদ্বোধন করতে পাঠানো হয় তামিমের সঙ্গে। লিটন নেমে যান চারে। কিন্তু রনি মাত্র ৪ রান করে আউট হয়ে যান। এই ৪ রান তিনি আবার করেছিলেন বাউন্ডারি মেরে।
এ নিয়ে তামিম বলেন, ম্যাক্সিমাম খেলাতেই আমি আর লিটন ওপেন করে থাকি। রনিকে আমরা গত সিরিজ (ঘরের মাঠে আয়ার্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ) থেকে দলের সঙ্গে রেখেছি। তখন সে কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি। এই ম্যাচে সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু রান করতে পারেনি। একটা মানুষকে একটা সুযোগ দিয়ে পরিবর্তন করে ফেলা কতটা যুক্তিসঙ্গত হবে আমি জানি না। একটা বিষয় আপনাদের মনে রাখতে হবে যে সব কিছু আমার হাতে নেই। আমারও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। সেই সীমাবদ্ধতার মাঝ থেকে যখন আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করা হয়, পরামর্শ চাওয়া হয়, আমি দিয়ে থাকি।
এমপি/এসজি