প্রথম অর্জনের সফরে শান্ত সিরিজ সেরাও
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ড সফরে সাফল্যের ডালি উপচে পড়ছে নাজমুল হোসেন শান্তর। অনেক প্রথমের দেখা পেয়েছেন তিনি এই সফরে। প্রথমেই পেয়েছেন একজন ব্যাটসম্যানের চির আরাধ্য সেঞ্চুরির দেখা। দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে তিনি ১১৭ রান করেছিলেন। এরপর তৃতীয় একদিনের ম্যাচে তিনি পান প্রথম একদিনের উইকেট। এ সবের প্রাপ্তি হিসেবে এসেছে সিরিজ শেষে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
নাজমুল হোসেন শান্ত যে সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হতেযাচ্ছেন তা আগেই অনুমান করা গিয়েছিল। কারণ তিনি শুধু সেঞ্চুরিই করেননি, সিরিজে ধারাবাহিকভাবে রানও করে গেছেন। প্রথম ম্যাচে ৪৪ রান করার পর তৃতীয় ম্যাচে করেন ৩৫ রান। তিন ম্যাচে তার মোট রান ১৯৬। সঙ্গে তৃতীয় ম্যাচে সিরিজে প্রথমবারের মত হাত ঘুরিয়ে ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে পেয়েছেন হ্যারি টেক্টরের মত ব্যাটসম্যানের উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪০ রান করা তৃতীয় ম্যাচে করেন ৪৫ রান। শান্তর বল লিটন দাস দর্শনীয় ক্যাচ ধরে তাকে প্রথম উইকেট পেতে দারুণভাবে সহায়তা করেন।
ম্যাচ শেষে সিরিজ সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার নিতে এসে নাজমুল হোসেন শান্ত উপস্থাপকের এক প্রশ্নের জবাবে প্রথম উইকেট পাওয়ার চেয়ে প্রথম সেঞ্চুরিকেই এগিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেন, আমার কাছে প্রথম সেঞ্চুরিই বিশেষ কিছু। আমি আমার এই ব্যাটিং ধরে রাখতে চাই।’
তৃতীয় ম্যাচে শান্তর হাতে অধিনায়ক তামিম ইকবাল বল তুলে দিয়েছিলেন দলের ক্রান্তিকালে, যখন ম্যাচ বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ৪২তম ওভারে তিনি প্রথম বল হাতে তুলে নেন। এ সময় আইরিশদের রান ছিল ৪১ ওভারে ৩ উইকেটে ২২৩। জেতার জন্য প্রয়োজন ৭ উইকেটে ৯ ওভারে ৫২ রানের। উইকেটে সেট দুই ব্যাটসম্যান আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান হ্যারি টেক্টর ৪৪ ও লরকান টাকার ৩৯ রানে। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই শান্ত দুর্ধর্ষ হ্যারি টেক্টরকে লিটনের চমৎকার ক্যাচে আউট করেন। পরের ওভার থেকে শুরু হয় মোস্তাফিজের তান্ডব। টানা ৩ ওভারে তুলে নেন ৩ উইকেট। তাই মোস্তাফিজ ধ্বংসলীলা চালালেও পথ দেখিয়েছিলেন শান্তই টেক্টরকে আউট করে।
ম্যাচে বোলিং করা নিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘আমি আমার প্রসেস অনুসরন করেছি মাত্র। নেটে আমি স্পিন বোলিং কোচ হেরাথের সঙ্গে অনেক অনুশীলন করেছি। অধিনায়ক আমাকে বোলিং করার কথা বলেন। এমনিতে আমি তাকে সব সময় বোলিং করার কথা বলতাম। কিন্তু আজ বলিনি।’ বোলিং করার সময় শান্ত মিরাজকে অনুসরন করেন জানিয়ে বলেন, ‘আমি মিরাজের বোলিং অ্যাকশন অনুসরন করার চেষ্টা করি। কিন্তু প্রপার্লি করতে পারি না। কিন্তু বোলিং করার সময় তিনি আমাকে অনেক সহায়তা করেছেন।’ উইকেট পেলেও কিংবা নেটে অনুশীলন করলেও নিজেকে অলরাউন্ডার মনে করেন না শান্ত। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে অলরাউন্ডার মনে করি না। কিন্তু তামিম হয়তো বিশ্বাস করবে আমি বোলিং করতে পারি।’
তিনটি ম্যাচেই প্রচুর সংখ্যাক প্রবাসী দর্শক মাঠে এসে ক্রিকেটারদের উৎসাহ যুগিয়েছেন। এ জন্য শান্ত তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিপুল সংখ্যাক দর্শকদের মাঠে উপস্থিতি দেখে খুবই ভালো লেগেছে। আমার যেখানেই খেলতে যাই না কেন তারা মাঠে এসে উপস্থিত হন। তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’
এমপি/এএস