টেক্টর-ডকরেল ঝড়ে বাংলাদেশের লক্ষ্য ৩২০ রান
বৃষ্টির পেটে চলে যায় প্রথম ম্যাচ। শুক্রবার (১২ মে) দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও চোখ রাঙায় বৃষ্টি। ফলে প্রায় ২ ঘণ্টা পর শুরু হয় ম্যাচ। কমে যায় ওভার। ৪৫ ওভারের ম্যাচ টস জিতে আয়ারল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আর এই ৪৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৯ রান করেছে আয়ারল্যান্ড। জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ৩২০ রান।
খেলার শুরুতে তামিমের এ সিদ্ধান্ত সঠিক মনে হলেও যত ওভার গড়াতে থাকে ততই যেন সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হতে থাকে। আইরিশ শিবিরে শুরুতেই জোড়া আঘাত হানেন পেসার হাসান মাহমুদ। একে একে ফেরান পল স্টার্লিং (০) ও স্টিফেন ডোহেনিকে (১২)।
শুরুতে ২ উইকেট হারিয়ে বেশ সতর্ক অবস্থানে চলে যায় আইরিশ ব্যাটসম্যানরা। অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবির্নি হ্যারি টেক্টরকে নিয়ে গড়েন প্রতিরোধ। তাদের এই জুটি ব্যাপক ভুগিয়েছে টাইগার বোলারদের। শেষতক বালবির্নি (৪২) শরিফুলের বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসে বন্দী হয়ে ফিরলে ভাঙে তাদের ৯৮ রানের জুটি।
ক্রিজের একপ্রান্ত আগলে ধরে খেলতে থাকেন টেক্টর। তাকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন লোরকান টাকার (১৬) ও কার্টিস ক্যাম্ফার (৮)। এরপর হেক্টরকে সঙ্গ দেন জর্জ ডকরেল। হেক্টর তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। অন্যদিকে দ্রুত রান তুলতে থাকেন ডকরেল। ৩১ বলে ২ চার ও ৪ ছয়ে করেন হাফসেঞ্চুরি।
হেক্টর-ডকরেল যখন রানের চাকা এগিয়ে নিচ্ছিলেন সেসময় আঘাত হানেন এবাদত। এবাদতের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন হেক্টর। ফেরার আগে খেলেন ১১৩ বলে ৭ চার ও ১০ ছয়ে সাজানো ১৪০ রানের ইনিংস।
এরপর আর কোনো উইকেট হারাতে হয়নি আইরিশদের। হেক্টরের বিদায়ের পর মাঠে নেমে দারুণ এক ইনিংস খেলেন মার্ক অ্যাডায়ার। মাত্র ৮ বলে ২ ছয়ে ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তার সঙ্গে ৪৭ বলে ৩ চার ও ৪ ছয়ে ৭৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ডকরেল।
বাংলাদেশের পক্ষে হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম দুটি করে এবং এবাদত হোসেন ও তাইজুল ইসলাম ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
প্রথম ম্যাচে ৫০ ওভার খেলে যেখানে বাংলাদেশ ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান করেছিল সেখানে আজ আয়ারল্যান্ড ৪৫ ওভারেই করেছে ৩১৯ রান। এখন দেখার বিষয় বাংলাদেশ এ রান টপকাতে পারে কি না।
এসজি