হারের বৃত্তেই বাংলাদেশের যুবারা
পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে হারের বৃত্তেই আছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সোমবার (৮ মে) দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে তারা হেরেছে ৭৮ রানে।চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার আজান আওয়াইজরে (১০৫) সেঞ্চুরিতে ভর করে পাকিস্তান শেষ বলে অলআউট হয়ে করে ২৭১ রান।
জবাব দিতে নেমে যথারীতি ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়ে স্বাগতিকরা। ৪৭ ওভারে অলআউট হয় ১৯৩ রানে। এর আগে প্রথম ওয়ানডে ও একমাত্র চারদিনের ম্যাচেও হেরেছিল বাংলাদেশ।এই ম্যাচ হারের ফলে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তান ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল।
দুই দেশের এবারের সিরিজে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা সব ম্যাচেই যেখানে রান ফোয়ারায় আছেন, সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা আছেন ব্যর্থতার জালে আটকা।
দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান শুরুতেই সিরিজে তাদের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান শাহজিব খানের (৬) উইকেট হারালেও আরেক ওপেনার ম্যাচ সেরা আজান আওয়াইজের ১০৫, অধিনায়ক সাদ বেগের ৫১ রানের সঙ্গে শ্যামল হোসেনের ৩৩ আমির হোসেনের অপরাজিত ২৯ রানে ২৭১ রান করে ইনিংসের শেষ বলে গিয়ে অলআউট হয়। বাংলাদেশের হয়ে ইকবাল হোসেন ইমন ৭২ রানে নেন ৪ উইকেট। মাহফুজুর রহমান রাব্বি নেন ৫২ রানে ৩ উইকেট।
জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটাও ভালো হয়নি। কোনো রান না করেই আউট হন ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি। কিন্তু পাকিস্তান তাদের শুরুর ব্যর্থতা পরবর্তী সময়ে কাটিয়ে উঠতে পারলেও বাংলাদেশ আর পারেনি। ফলে ৪৭ ওভারে ১৯৩ রানে তারা অলআউট হয়ে যায়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন মোহাম্মদ সিহাব জেমস।
এ ছাড়া, ওপেনার আদিল বিন সিদ্দিক ৪০, জাকারিয়া ইসলাম শান্ত ২৪, অধিনায়ক আহরার ইমন ২৩ ও মাহফুজুর রহমান রাব্বি ২২ রান করেন। পাকিস্তানের মোহাম্মদ ইসমাইল ৫০ রানে নেন ৩ উইকেট। এ ছাড়া্ আলী আসফান্ড ১৮, আরাফাত মিনহাজ ৪৪ ও আইমাল খান ৪৬ রান নেন ২টি করে উইকেট।
এমএমএ/