তামিমের বিশ্বকাপের ভাবনায় মাহমুদউল্লাহ-আফিফ
এ বছরই অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে বসবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর। তাই এখন ওয়ানডে ম্যাচ খেলা মানেই বিশ্বকাপের বিষয়টি সামনে চলে আসা। কোনো দলই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। চলছে শেষ মুহূর্তের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এই পরীক্ষায় বেশ ভালোভাবেই শামিল হয়েছে বাংলাদেশ দল। তাইতো আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ডে গিয়েও ঘুরে-ফিরে আসছে বিশ্বকাপের প্রসঙ্গটি।
বাংলাদেশের এই সিরিজ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সুপার লিগের অংশ। কিন্তু সেখানে বাংলাদেশ নির্ভার। তারা অনেক আগেই ভিসা পেয়ে গেছে খেলার। বিপরীত অবস্থা আয়ারল্যান্ডের। এই সিরিজের উপর নির্ভর করছে তাদের সরাসরি ভিসা পাওয়া। তার জন্য জিততে হবে ৩- ০ ব্যবধানে আপাতত দৃষ্টিতে যা খুব কঠিন।
নির্ভার বাংলাদেশ তাই নিজেদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজটি বেশ ভালোভাবেই করে নিচ্ছে। এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার ল্যাব্রটরিতে আপাতত নেই মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ হোসেন। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলার পর থেকেই তারা নেই দলে। মিছ করেছেন ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ। ৯ মে মঙ্গলবার চেমসফোর্ডে শুরু হবে তিন ম্যাচের সিরিজ। সেই সিরিজকে সামনে রেখে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে আসা তামিম ইকবালকে দিতে হয়েছে এই দুইজনকে নিয়ে করা প্রশ্নের জবাব। দুই জনই খুব ভালোভাবে তাদের বিবেচনোয় আছেন বলে জানান তামিম ইকবাল।
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন দুইজনেই প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে রান করে যাচ্ছেন। সে বিষয়টিও তামিম ইকবালের বেশ ভালো নজরে আছে। মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এটা নিয়ে অনেক কথা শুনছি যে এটা কী হচ্ছে না হচ্ছে (রিয়াদের বিশ্বকাপ দলে থাকা)। কিন্তু আমার মনে হয় না...তিনি অবশ্যই অবশ্যই আমাদের পরিকল্পনা আছেন। উনি না, এই মুহূর্তে যে দলে নেই প্রিমিয়ার লিগে ভালো করছে; আমরা ওদের নিয়ে অবশ্যই কথাবার্তা বলছি। যেটা আমি বললাম, দলের জন্য সেরা যেটা হবে সেটাই করবে।’
আফিফ হোসেন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শেষ সিরিজেও দেখেন, কিছু ব্যাটিং অর্ডার বদলেছি, কয়েকজনকে উপরে ব্যাটিং করিয়েছি। আফিফের কথাও যদি বলি, আমার মনে হয় তারও একই সুযোগ আছে অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের মতো। সে ভালোও করছে। হয়তো দু-একটা সিরিজ যেকোনো মানুষেরই খারাপ যেতে পারে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় রিয়াদ-আফিফ আমাদের হিসাবে আছে।’
বিশ্বকাপ দল প্রসঙ্গে তামিম ইকবাল ইঙ্গিত করেন এশিয়া কাপের সময় ঘোষিত দল দেখেই একটা ধারনা সবাই পেয়ে যাবেন। তিনি বলেন, ‘একটা আইডিয়া পেয়ে যাবেন যখন আমরা এশিয়া কাপ খেলবো। ওই যে স্কোয়াডটা আমরা করবো, অনেকটা সেটাই হবে বিশ্বকাপের স্কোয়াড। যদি কেউ চরমভাবে ব্যর্থ হয় অথবা ইনজুরিতে না পড়ে। তা ছাড়া, আমার মনে হয় না ওরকম কোনো পার্থক্য হবে। এই সিরিজ, হয়তো পরের সিরিজ এগুলোতে নতুন করে কিছু সুযোগ দেওয়া। এই সিরিজগুলোকেই আমরা মূলত টার্গেট করছি।’
এমপি/এমএমএ/