গাজীকে হারিয়ে মোহামেডান পাঁচে
মিরপুর ও বিকেএসপিতে যখন শিরোপা লড়াইয়ে টিকে থাকার ম্যাচ হচ্ছে, তখন নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায় নিষ্প্রাণ ম্যাচ হচ্ছে গাজী গ্রুপ ও মোহামেডানের মাঝে। দুই দলই পয়েন্ট টেবিলের প্রথম চারে নেই। আবার দুই দলের পয়েন্টই সমান ১৩ করে।
প্রথম পর্বে হেড টু হেডে গাজী জয়ী হওয়াতে তাদের অবস্থান পাঁচে। মোহামেডান ছয়ে। এই ম্যাচে জয়-পরাজয় যাই হোক না কেন দুই দলের সর্বোচ্চ এই অবস্থানের পরিবর্তন হতে পারে। সেখানে জয়ী হয়েছে মোহামেডান। তারা ২০ রানে ম্যাচ জিতে ১৪ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এসেছে পাঁচে। গাজী নেমে গেছে ছয়ে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মোহামেডান ৯ উইকেটে ২৪০ রান করে। জবাব দিতে নেমে গাজী গ্রুপ ৪৯.ওভারে ২২০ রানে করে অলআউট হয়।
টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর মোহামেডান কিন্তু বেশ ভালোই বিপর্যয়ে পড়েছিল ১৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে। এই অবস্থার সামাল দেন পরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আব্দুল মজিদ ও আরিফুল হক। তিন জনের ব্যাট থেকেই আসে হাফ সেঞ্চুরি। দলীয় ২৪০ রানের ১৪৪ রানই আসে এই তিন জনের ব্যাট থেকে।
সতের রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মজিড় ও মাহমুদউল্লাহ চতুর্থ উইটে জুটিতে ১৩৩ রান যোগ করে দলের বিপর্যয় রোধ করে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান। দুই জনেই আউট হন ১৫ রানের ব্যবধানে। প্রথমে আউট হন মজিদ ৮৮ বলে ২ ছক্কা ও ৩ চারে ৬৩ রান করে টিপু সুলতানের বলে মেহরবের হাতে ধরা পড়ে। ম্যাচ সেরা মাহমুদউল্লাহকে আউট করেন জয়নাল ইসলাম। তার বলে ক্যাচ ধরেন মাহমুদুল হাসান।
মাহমুদউল্লাহর ৯৫ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি করে চার ও ছক্কা। এই দুই জন আউট হওয়ার পর মোহামেডানের ইনিংসকে ২৪০ পর্যন্ত নিয়ে যান আরিফুল হক ৪৪ বলে ৬ ছক্কা ও ১ চারে ৫৫ রান করে জয়নালের বলে মেহেদি মারুফের হাতে ধরা পড়ে। টিপু সুলতান ৩১ রানে নেন ৩ উইকেট। মোহাম্মদ এনামুল ৩৬ ও জয়নাল ইসলাম ৬৪ রানে ২টি করে উইকেট নেন।
২৪০ রান পাড়ি দেওয়া খুব বড় টার্গেট নয়। কিন্তু সেই রান তাড়া করতে নেমে মোহামেডানের বোলারদের সম্মিলিত আক্রমণেরমুখে পড়ে পথ হারায় গাজী ব্যাটসম্যানরা। একমাত্র মেহরাব হাসান করেন ৬৩ রান। তিনি ৭৯ বল খেলে ৩ ছক্কা ও ১ চারে এই রান করে নাজমুলের বলে খালেদের হাতে ধরা পড়নে। এ ছাড়া ওপেনার মেহেদি মারুফ ৪২ এবং ফরহাদ হোসেন ও অধিনায়ক আকবর আলী ২৩ রান করে করেন। মোহামেডানের নাজমুল ইসলাম ২৪, মুশফিক হাসান ৩৯, খালেদ আহমেদ ৪৩ ও এনামুল হক জুনিয়র ৬২ রান নেন ২টি করে উইকেট।
এমপি/এমএমএ/