ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে আবেদনের শুনানিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবারের (২৮ নভেম্বর) মধ্যে সরকারকে পদক্ষেপ জানাতে হবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন অবনতি না হয় সে বিষয়ে সরকারকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেন।
এর আগে, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) নিষিদ্ধ চেয়ে এবং যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে চট্টগ্রাম ও রংপুরে জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান।
তবে বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যার্টনি জেনারেলকে ডেকে পাঠান আদালত।
অ্যার্টনি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “যে কেউ কোনো অ্যাঙ্গেল থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। সরকার জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। সাম্প্রতিক ইস্যুতে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।”
তখন আদালত বলেন, তারা উদ্বিগ্ন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে কেউ অবনতি করতে না পারে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতে পাঠানোর পথে তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে দেয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা। তাদের সরিয়ে দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে নেওয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামের এক আইনজীবী নিহত হয়।