ওয়ানডে ম্যাচেও বাজে হারে শুরু বাংলাদেশের যুবাদের
চারদিনের একমাত্র ম্যাচে পাকিস্তানের যুবাদের কাছে বাজেভাবে হারের পর এবার ওয়ানডে সিরিজও বাংলাদেশের যুবারা একইভাবে শুরু করেছে। হেরেছে ৯ উইকেটে। শনিবার (৬ মে) চট্টগ্রামে পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের ডানহাতি পেসার আমির হোসেনের তোপে পড়ে মোটেই সুবিধা করতে পারেনি। পুরো ৫০ ওভার খেলেও রান করে ৯ উইকেটে মাত্র ১৬৫। সফরকারীরা সেই রান টপকে যায় ৩৭.২ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান করে। ম্যাচসেরা হয়েছেন আমির হোসেন।
চারদিনের ম্যাচে স্বাগতিকরা হেরেছিল ব্যাটিং ব্যর্থতার কবলে পড়ে। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪৯ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংস অধিনায়ক শাহরিয়ার সাকিবের (১০৬) সেঞ্চুরিও ব্যাটিং ব্যর্থতার জাল ছিন্ন করতে পারেনি। দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিল ২৯২ রান। পাকিস্তানর যুবারা ম্যাচ জিতেছিল ১০ উইকেটে। প্রথম ইনিংসে তারা ৪২০ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য করেছিল প্রয়োজনীয় ২৩ রান। চার দিনের ম্যাচেও আমির প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট।
চারদিনের ম্যাচের সেরা একাদশের ৩ জন ছিলেন না ওয়ানডে দলে। তারা ছিলেন- মাজহারুল ইসলাম, সিয়াম হোসেন দিপু, আকন্ত শেখ। নতুন করে আসেন- আহরার আমিন, মোহাম্মদ সিহাব জেমস ও রাহনাত দৌল্লা বর্ষন। আহরার আমিন অধিনায়কত্ব করেন। চার দিনের ম্যাচে অধিনায়ক ছিলেন শাহরিয়ার সাকিব।
ম্যাচসেরা আমির হোসেন
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিক দলের ব্যাটসম্যানরা আমির হোসেনের তোপে পড়ে মাত্র ৪১ রানে হারায় ৫ উইকেট। আউট হওয়া ৫ ব্যাটসম্যানের মাঝে একমাত্র ওপেনার আদিল বিন সিদ্দিকিই একমাত্র দুই অঙ্কের রান করেন। ২৩ রান করে তিনি আউট হন।
দলের এরকম বিপর্যয়ে মাহফুজুর রহমান রাব্বি হাল ধরে ইনিংস মেরামত করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অপরপ্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিল বন্ধ না হওয়ায় তাকে একাই লড়াই করতে হয়। সাত নম্বরে নেমে ১০০ বল খেলে তিনি ৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল ২টি ছক্কা ও ৮টি চার।
সপ্তম উইকেট জুটিতে পারভেজ রহমান জীবনকে নিয়ে তিনি ৩০ রান যোগ করেন। জীবন আউট হন ১৯ রান করে। তার ২৬ বলের ইনিংসে ছিল না কোনো চার কিংবা ছক্কা। জীবন আউট হওয়ার পর অষ্টম উইকেট জুটিতে ওয়াসি সিদ্দিকীকে নিয়ে তিনি যোগ করেন ৫৭ রান। এবার আউট হন ওয়াসি ২৩ বলে ১ চারে ১৫ রান করে। আমির ২৪ রানে নেন ৫ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ ইসমাইল, আলী আসফান্ড, আইমাল খান ও ওবায়েদ শহীদ।
টার্গেট বড় নয়। খুবই ছোট। তাদের দুই ওপেনার আজান আওয়াইজ ও শাহজিব খানই দলকে জয় পাইয়ে দিচ্ছিলেন। উদ্বোধনী জুটিতেই তারা ৩৩.৩ ওভারে ১৪৮ রান যোগ করেন। জুটি ভাঙে চার দিনের ম্যাচে ১৭৪ রানের ইনিংস খেলা শাহজিব খান ৮৩ রান করে মাহফুজুর রহমান রাব্বির বলে অধিনায়ক আহরার আমিনের হাতে ধরা পড়লে। তার ১১৬ বলের ইনিংসে ছিল ৩ ছক্কা ও ৭ চার। জয়ের বাকি কাজ সারেন আজান ও শ্যামল হোসেন। আজান ১০০ বলে ১ ছক্কা ও ৬ চারে ৬৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। শ্যামল অপরাজিত ছিলেন ৩ রানে। মাহফুজুর রহমান রাব্বি ৩৬ রানে নেনে একমাত্র উইকেটটি।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে একই ভেন্যুতে আগামী ৮ মে।
এমপি/এসজি