সুপার লিগের শুরুতেই শেখ জামালের হোঁচট
প্রথম পর্বে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব সুপার লিগের শুরুতেই বড় ধরনের হোঁচট খেয়েছে। সুপার লিগের প্রথম দিনই তারা ব্যার্টিং ব্যর্থতার বলয়ে আটকা পড়ে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কাছে হেরেছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে গাজী গ্রুপের বোলারদের তোপে পড়ে শেখ জামাল ৩৩.২ ওভারে মাত্র ৮৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাব দিতে নেমে গাজী গ্রুপ সেই রান টপকে যায় মাত্র ১৫.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯১ রান করে। এই হারে শিরোপা ধরে রাখার পথে বেশ বড় ধরনের ধাক্বা খেল শেখ জামাল।
১২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২০-ই থাকল। অপরদিকে শেষ দল হিসেবে সুপার লিগ খেলতে আসা গাজী গ্রুপ এই জয়ে তাদের পয়েন্ট ১৩-তে উন্নিত করল।
টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর শেখ জামালের শুরুটা একেবারে খারাপ ছিল না। অন্তত ৮৯ রানে অলআউট হওয়ার মতো শুরু ছিল না। ১৫ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙলেও সাইফ হাসান (২২), সৈকত আলঅ (১৯) ও ফজলে মাহমুদ রাব্বির (২০) ব্যাটে ভর করে একপর্যায়ে তাদের রান ছিল ২ উইকেটে ৫৬। দলীয় ৩৩ রানে সাইফ আউট হওয়ার পর সৈকত আলী ও ফজলে রাব্বি দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। দলীয় ৫৬ রানে সৈকত আলী ১৯ রানে করে আউট হওয়ার পর শুরু হয় বিপর্যয়।
এরপর আর কোনো ব্যাটসম্যানই দাঁড়াতে পারেননি। শুরু হয় আাস-যাওয়া। কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। ফজলে রাব্বি শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন ২০ রান করে। টিপু সুলতান ও জয়নাল ইসলাম মিলেই শেখ জামালের টপ ও মিডল অর্ডার ধ্বসিয়ে দেন। শেখ জামালের শেষ ৫ উইকেট পড়ে মাত্র ১৪ রানে। ম্যাচ সেরা জয়নাল ২৩ রানে ৪ উইকেট। টিপু সুলতান ৩ উইকেট নিতে খরচ করেন ২১ রান।
ছোট টার্গেটের পেছনে ছুটে গাজী গ্রুপ ৩ উইকেট হারালেও বলেরে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান সংগ্রহ করতে থাকেন। সর্বোচ্চ ৪৫ রান আসে ওপেনার মেহেদি মারুফের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া ১৩ রান করে করেন হাবিবুর রহমান সোহান ও ফরহাদ হোসেন।
এমপি/এমএমএ/