মোস্তাফিজ ফর্মে আছে, না নেই বলা কঠিন: হাথুরুসিংহে
আইপিএলে এমনিতেই বাংলাদেশের ক্রিকেটারা খুব কমই সুযোগ পেয়ে থাকেন। তারপর যারা সুযোগ পেয়ে থাকেন তারা আবার সেরা একাদশে বিবেচ্য হতেও অনেক কাঠখড় পোহাতে হয়। তাদের নিয়মিত স্থান যেন একাদশের বাইরে থাকা।
এবারের আইপিএলে বাংলাদেশের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছিল। সাকিব-মোস্তাফিজের সঙ্গে প্রথমবারের মত লিটন দাস সুযোগ পেয়েছিলেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলায় ব্যস্ত থাকার কারণে আইপিএলের শুরু থেকেই যেতে পারেননি বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার। যে কারণে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হওয়ার পরদিনই মোস্তাফিজকে চার্টাড বিমানে করে নিয়ে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস। মোস্তাফিজের প্রতি এমন গুরুত্ব দেওয়াতে অনেকেই মনে করেছিলেন ভারতে নেমেই মোস্তাফিজ খেলতে নেমে যাবেন। কিন্তু তা আর হয়নি। সেই সুখবর আর সুখবর থাকেনি। সেখানে ঘোর অন্ধকার নেমে আসে। সাকিব না খেলেই নাম প্রত্যাহার করে নেন। মোস্তাফিজ মাত্র ২টি ম্যাচ খেলে বাদ পড়েন। পরে আর খেলারই সুযোগ পাননি। লিটন দাস অনেক প্রতীক্ষার পর খেলার সুযোগ পেলেও ভালো করতে না পারার কারণে পরের ম্যাচেই তিনি বাদ পড়েন। এরপর গতকাল (শুক্রবার) তিনি ফিরে আসেন দেশে।
আজ সিলেটে আইপিএলে মোস্তাফিজের বাদ পড়া নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘কেউ যখন সুযোগ পায় না, তখন বলা খুব কঠিন সে ফর্মে আছে, না নেই। সে (ইদানিং) খুব বেশি খেলেনি। এখানে যখনই সে খেলেছে, ভালো করেছে। দলের কাজটা করেছে। তাই আমাকে দেখতে হবে সে ফেরার পর কেমন পারফর্ম করে।’
এবারের আইপিএলে মোস্তাফিজ প্রথম খেলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে। ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ১ উইকেট। পরের ম্যাচে তিনি ছিলেন আরও বিবর্ন। খেলেছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে। ৩ ওভার ৪১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন।
এদিকে লিটন দাসের দেশে ফিরে আসা নিয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন হাথুরসিংহে। তিনি বলেন, ‘ম্যানেজারের মাধ্যমে কিছুক্ষণ আগে আমি জানতে পেরেছি যে লিটন ফিরেছে। আমার কাছে তার সম্পর্কে এ ছাড়া আর কোনো তথ্য নেই।
লিটন দাসের অভিষেক হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে। প্রথম বলে বাউন্ডারি মেরে শুরু করেছিলেন। কিন্তু পরে আর কোনো রান করতে পারেননি। ৪ রানেই আউট হয়ে যান। কিন্তু তার এই ব্যাটিং ব্যর্থতা ছাড়িয়ে যায় পরে কিপিং করার সময়। খুবই দৃষ্টিকটুভাবে দুইটি সহজ স্ট্যাম্পিং মিস করেছিলেন। কলকাতা হেরে যাওয়ার পর লিটনের এই দুইটি স্ট্যাম্পিং করতে না পারকে খুব করে দেখানো হয়েছিল। সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হয়েছিলেন।
এমপি/আরএ/