সিলেটে টাইগারদের রূদ্ধদ্বার অনুশীলনে ম্যাচের ‘আবহ’
কিছুদিন আগে আয়ারল্যন্ডকে ঘরের মাঠে নাকানি-চুবানি খাইয়ে ওয়ানডে-টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। সেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেই বাংলাদেশ ফিরতি সিরিজ খেলতে যাবে ইংল্যান্ডে। এই সফরে শুধুই ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এই সিরিজ আবার ওয়ানডে বিশ্বকাপের অংশ। বাংলাদেশ অনেক আগেই ওয়ানডে বিশ্বকাপের ভিসা পেলেও আয়ারল্যান্ড আছে অপেক্ষায়। বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করকে পারলেই কেবল তারা ভিসা পাবে। নতুবা বাছাইপর্ব খেলে তবেই ভিসা নিতে হবে।
বাংলাদেশের তাই শুধুই খেলার জন্য খেলা। আবার প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক শক্তিশালী। তারপরও কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এমন একটি সফর নিয়ে বেজায় সিরিয়াস। তাইতো তিনি বিমানে উঠার আগে সিলেটে তিন দিনের সংক্ষিপ্ত অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছেন। আজ শুরু হয়েছে সে পাঠশালা।
হাথুরুসিংহে এই সফর নিয়ে এতোটাই সিরিয়াস যে তিনি শুধু সিলেটকেই বেছে নেননি। রূদ্ধদ্বার অনুশীলনেরও ব্যবস্থা করেছেন। বাংলাদেশ দলের খেলা হোক আর অনুশীলন হোক, সাংবাদিকরা সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু এই অনুশীলনে সে রকম কোনও সুযোগ ছিল না। একটি নির্দিষ্ট সময়ে মাত্র ৩০ মিনিটের জন্য সাংবাদিকেদর জন্য অবমুক্ত করা হয়। এই সময়ই ছবি তুলা, ভিডিও করা আর দলের পক্ষ থেকে একজন এসে কথা বলে যান। আজ কথা বলেন নতুন সুযোগ পাওয়া মুত্যঞ্জয় চৌধুরী। তার কথাতেই জানা যায় আজ বাংলাদেশ দলের অনুশীলন হয়েছে অনেকটা ম্যাচের আবহ নিয়ে।
মৃত্যঞ্জয় জানান ম্যাচের কোন পরিস্থিতিতে কিভাবে ব্যাটিং করতে হবে তার অনুশীলন করানো হয়েছে আজ। যেমন পাওয়ার প্রথম ১০ ওভারে কিংবা ইনিংসের শেষের দিকে। এ রকম বিভিন্ন পরিস্থিতিতে। মৃত্যুঞ্জয় বলেন,‘ আজকের প্র্যাকটিসে ম্যাচ কন্ডিশনের মত করা হয়েছে। যেমন প্রথম ১০ ওভারে কীভাবে খেলতে হবে। শেষদিকে কীভাবে খেলতে হবে। সে অনুযায়ী ব্যাটাসম্যানদের নামানো হয়েছে। এই যেমন কাউকে বলা হয়েছে তুমি এই ১০ ওভার ব্যাট করো। এভাবেই প্ল্যান দেওয়া হয়েছে। পরে তারা সেভাবেই ব্যাটিং করেছেন। আজ শুধু ম্যাচের পরিস্থিতি মানিয়ে নেওয়ার অনুশীলন হয়েছে।’
‘কোচ সিলেটকে অনুশীলনের জন্য বেছে নেওয়ার কারণ তার সেখানকার পিচ পছন্দ হয়েছে। পিচ স্পোর্টিং। বাউন্স আছে। অনেকটা ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডের মত। তাই ক্রিকেটাররা যাতে করে কিছুটা হলেও মানিয়ে নিতে পারেন, সে জন্যই তারা সিলেটে অনুশীলন। এ নিয়ে মৃত্যুঞ্জয় বলেন, ‘ইংল্যান্ডের উইকেটে বাউন্স আছে। সিলেটের উইকেটের সুনাম আছে। স্পোর্টিং উইকেট। আজ অনুশীলন করলাম। উইকেটে বাউন্স ছিল। এটা আমাদের অনেক সহায়তা করবে। একেবারে ইংল্যান্ডের মতো উইকেট তো আর হওয়া সম্ভব না। যতটুকু হয়েছে ভালো কাজে দেবে।’
সিলেটে তিন দিনের অনুশীলন শেষে বাংলাদেশ দল ৩০ এপ্রিল দিবাগত রাতে ইংল্যান্ড রওয়ানা হবে। হাথুরুসিংহের এই বিশেষ ‘ট্রেনিং’ ক্যাম্পে ছিলেন না সাকিব আল হসান, লিটন দাস ও মোস্তাফিজুর রহমান।
এমপি/এএস