নিরপেক্ষ জোনের ৩ দলের খেলা শেষ
প্রিমিয়ার বিভাগ ক্রিকেটে লিগে ১২ দল অংশগ্রহণ করলেও প্রথম পর্ব শেষ দলগুলো তিনভাবে বিভক্ত হয়ে যায়। একদিকে থাকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা ৬ দল। এরা শিরোপা জন্য খেলে সুপার লিগ।
পয়েন্ট টেবিলের নিচের ৩ দল খেলে রেলিগেশন লিগ। এখান থেকে ২টি দল নেমে যায় প্রথম বিভাগে। বাকি থাকে ৩ দল। তারা যেন নিরপেক্ষ জোনে অবস্থান করে। সুপার লিগও খেলে না, রেলিগেশন লিগও খেলে না। এই নিরপেক্ষ জোনে থেকেই শেষ করে মৌসুম। এবারের লিগে নিরপেক্ষ জোনে থাকা তিনটি ক্লাব হলো রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও সিটি ক্লাব।
রূপগঞ্জ টাইগার্স ৯ পয়েন্ট, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও সিটি ক্লাব ৮ পয়েন্ট করে পেয়ে নিরপেক্ষ জোনে অবস্থান করছে। পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান যথাক্রমে সাত, আট ও নয়ে।
এই তিন দলের মাঝে রূপগঞ্জ টাইগার্সের আবার সুপার লিগে খেলার সম্ভাবনা ছিল প্রবল। দলও তারা গড়েছিল শক্তিশালী। জাতীয় দলের বর্তমান ক্রিকেটার নাঈম হাসান, হাসান মাহমুদ, মুমিনুল হক সৌরভ, শামীম হোসেন পাটোয়ারির সঙ্গে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নাঈম ইসলাম,সানজামুল ইসলামকে নিয়ে বলা যায় শিরোপা জেতার মতই দলই গড়েছিল। এক পর্যায়ে তাদের পয়েন্ট ছিল ৭ ম্যাচে ৭। সুপার লিগের খেলার সমুহ সম্ভাবনা। কিন্তু এরপর টানা তিন ম্যাচ হেরে তারা সুপার লিগ খেলার সম্ভাবনা শেষ করে ফেলে। শেষ ম্যাচে ব্রাদার্সকে হারালেও সেটি ছিল শুধুই স্বান্তনার জয়।
ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও সিটি ক্লাব এক সময় ছিল রেলিগেশন লিগের শঙ্কায়। কিন্তু সিটি ক্লাব রূপগঞ্জ টাইগার্সকে ও সিটি ক্লাব গাজী গ্রুপকে হারিয়ে রেলিগেশন লিগ এড়িয়ে নিরপেক্ষ জোনে চলে আসে। দুই দলই আবার নিজ নিজ শেষ ম্যাচ হেরে যায়। দুই দলই নিজ নিজ শেষ ম্যাচ জিতেল আর গাজী গ্রুপ নিজেদের শেষ ম্যাচে হেরে গেলে, তখন ব্রাদার্স ল সুপার লিগে খেলার সুযোগ পেত। দুই দলের পয়েন্টই সমান ১০ করে থাকত। কিন্তু মুখোমুখি লড়াইয়ে সিটি ক্লাব জয়ী হওয়াতে তারাই পেত সুপার লিগের টিকিট।
তিন দল নিরপেক্ষ জোনে থাকায় ২২ গজে আর চলতি মৌসুমে আলো ছড়াতে দেখা যাবে না সিটি ক্লাবের রবিউল হককে। কারণ ২৩ উইকেট নিয়ে তিনি শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের পারভেজ রাসুলের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে অবস্থান করছেন। গড় রানে রাসুল শীর্ষে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালের খেলোয়াড় হওয়াতে রাসুল তার উইকেট সংখ্যা বাড়িয়ে নিতে পারবেন। কিন্তু রবিউলকে পুড়তে হবে আক্ষেপের আগুনে।
রবিউলের মতোই ব্যাট হাতে দেখা যাবে রূপগঞ্জ টাইগার্সের অধিনায়ক নাঈম ইসলামকে। ব্যাট হাতে তিনি রান করেছেন ৪০৯। আছে ৪টি হাফ সেঞ্চুরি। একই দলের মুমিুনল হক সৌরভ ৯ ম্যাচ খেলে করেছিলেন ৩৬১ রান। তার ব্যাট থেকেও এসেছিল ৪টি হাফ সেঞ্চুরি। এই দলের মুকিদুল ইসলাম বল হাতে নেন ১৫ উইকটে।
সিটি ক্লাবের হয়ে ব্যাট হাতে চমক দেখিয়েছিলেন তৌফিক খান তুষার ৩৯০ রান, আসিফ আহমেদ ৩২৬ রান করে। বল হাতে রবিউল ২৩ উইকেট নেওয়া ছাড়াও আসিফ নিয়েছিলেন ১৬ উইকেট।
ব্রাদার্সের হয়ে ব্যাট হাতে চমক দেখিয়েছেন তানজিদ হাসান, সাব্বির হোসেন, আনিসুল ইসলাম ইমন। তানজিদ ২টি সেঞ্চুরি ও ১টি হাফ সেঞ্চুরিতে ৪৭৪ রান করেছেন। সাব্বিরের রান ৪৩৭। তিনি করেছেন ১টি সেঞ্চুরি ও ২টি হাফ সেঞ্চুরি। আনিসুল ইসলামের রান ৩৫১। তিনিও ১টি সেঞ্চুরি ও ২টি হাফ সেঞ্চুরি করেন।
এমপি/এমএমএ/