ব্যাট হাতে শুরুতে বিজয়, পরে নাঈমের দাপট
ঘরোয়া ক্রিকেটে সবচেয়ে মজবুত ভিতের আসর হলো ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ। একসময় এই আসরের জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বি। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর জাতীয় দলের ব্যস্ততা ও বিপিএলের ডামাঢোলে অনেকটাই গুরুত্ব হারায় এই আসর।
তারপরও ক্রিকেটাররা এই আসর খেলে নিজেদের সবচেয়ে বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তোলেন। অতীতের মতো এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি
প্রিমিয়ার লিগে বিপিএলর মতো নেই বিদেশি ক্রিকেটারের ছড়াছড়ি। প্রতি দলে খেলে থাকেন একজন করে বিদেশি ক্রিকেটার। সেই সব ক্রিকেটাররাও আবার বিশ্ব মানের নন। যদিও একসময় ওয়াসিম আকরাম, রানাতুঙ্গার মতো ক্রিকেটাররা খেলে গেছেন এই লিগে। সেই সময় এখন অতীত।
এবারের জমজমাট আসরে জাতীয় দলের খেলা না থাকাতে মিরাজ-সাকিব-তামিমরা বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলেছেন। এতে করে লিগে নতুন করে প্রাণেরে ছােঁয়া পেয়েছিল।
শেষ হয়েছে প্রথম পর্বের ১১টি ম্যাচ। ১ মে থেকে শুরু হবে সুপার লিগ। প্রথম পর্বে ব্যাট হাতে দাপট ছিল জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া ক্রিকেটারদের। আবার বল হাতে শীর্ষ স্থানে দেশি বোলাররা না থাকলেও পরের স্থানগুলো আবার দেশি বোলারদের দখলে ছিল।
ব্যাট হাতে শীর্ষে উঠার লড়াইয়ে ছিলেন আবাহনী জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ৭১৯ রান করে সবার উপরে নাঈম। বিজয়ের রান ৬৪৪। গত মৌসুমে বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে হাজার রান করা এনামুল হক বিজয় প্রথম ৭ ম্যাচ পর্যন্ত এগিয়ে ছিলেন। এ সময় তার সেঞ্চুরি ছিল তিনটি ও হাফ সেঞ্চুরি চিল ২টি। কিন্তু পরের ৪ ম্যচে তিনি আর রানের দেখা পাননি।
এ সময় রান করেন ২৮, ১৫, ২৮ও ১। কিন্তু নাঈম শেখ ধারাবাহিক রান করে যেতে থাকেন। পরে উঠে পড়েন শীর্ষে স্থানে। একটি সেঞ্চুরির সঙ্গে তার হাফ সেঞ্চুরি ৭টি।
তৃতীয় স্থানে নেই কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান। গ্রাজী গ্রুপের ভারতীয় ব্যাটসম্যান রাভি তেজা ৫০৮ রান করে আছেন তৃতীয় স্থানে। তার দুইটি করে আছে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি। জাতীয় দল থেকে বাদ পাড় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ফজরে রাব্বি চতুর্থ স্থানে আছেন ৪৮২ রান করে।
একটি সেঞ্চুরি আর দুইটি হাফ সেঞ্চুরি এসেছে তার ব্যাট থেকে। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া একই দলের ওপেনার সাইফ হাসানও ৪৮২ রান করে করে আছেন পঞ্চম স্থানে। তিনি একটি সেঞ্চুরির সঙ্গে করেছেন চারটি হাফ সেঞ্চুরি।
এমপি/এমএমএ/