অবশেষে বড় জয়েই সুপার লিগে গাজী গ্রুপ
বিষয়টি অবাক করার মতোই গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স দল গঠন করে থাকে শিরোপা জেতার জন্য। সেখানে এবার তাদের সুপার লিগে উঠতেই ত্রাহি অবস্থা। এমন নয় যে দল শক্তিশালী গড়েনি।
এবারের লিগে ৫ দল সুপার লিগ খেলা নিশ্চিত করেছে। সেখানে নেই গাজী গ্রুপ। তাদের খেলাচটা শঙ্কায় পড়ে গেছে।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) শেষ রাউন্ডের খেলার উপর নির্ভর করছিল তাদের সুপার লিগ খেলা না খেলা। সুপার লিগ খেলতে হলে আজ তাদের জয়ের বিকল্প ছিল না। শেষ পর্যন্ত শেষ রাউন্ডে এসে কঠিন কোনো সমীকরণে পড়তে হয়নি গাজী গ্রুপকে। সহজেই জয় পেয়েছে শাইন পুকুরের বিপক্ষে।
জিতেছে ১৫৬ বিশাল ব্যবধানে। হাবিবুরের ১০১ ও রাভি তেজার ৯০ রানের ভর করে ৮ উইকেটে ৩৩৩ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায়। জবাব দিতে নেমে রেলিগেশন লিগ খেলা নিশ্চিত করা শাইন পুকুর মোটেই সুবিধা করতে পারেনি। অলআউট হয় ১৭৭ রানে। ১১ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ দল হিসেবে সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে গাজী গ্রুপ। ৪ পয়েন্ট নিয়ে রেলিগেশন লিগ খেলবে শাইন পুকুর। দুইটি লিগই শুরু হবে ঈদের পরে।
বিকেএসপির ৩ নম্বার মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে গাজী গ্রুপের শুরুটা ছিল খুবই বাজে। ২৫ রানে তারা হারিয়েছিল ২ উইকেট। কিন্তু এই বাজে অবস্থানকে আর গভীরে যেতে দেননি ওপেনার হাবিবুর। তিনি চারে নামা রাভি তেজাকে নিয়ে হাল ধরে দলের তিনশোর্ধ রানের ইনিংস গড়ার ভিত গড়ে দেন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা মাত্র ১৪.৩ যোগ করেন ১০৬ রান। হাবিবুর করেন মারমুখি ব্যাটিং। মাত্র ৬৬ বলে ৬ ছক্কা ও ১৪ চারে ১০২ রান করে তিনি আউট হন হাসান মুরাদের বলে এলবিডব্লিউ আউট হয়ে।
রাভি তেজাও সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে ছিলেন। কিন্তু ৯০ রানে গিয়ে তিনি নাবিল সামাদের বলে তারই হাতে ধরা পড়ে বিদায় নিলে তার আর সেঞ্চুরি করা হয়নি। তার ৮৫ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি ছক্কা ও ৬টি চার। এই দুই জন ছাড়া মেহরাব হাসান করেন ৪৮ রান। শাইন পুকুরে মাসুম খান টুটুল ৫৮ রানে নেন ৩ উইকেট। হাসান মুরাদ ২ উইকেচ নিতে খরচ করেন ৫৮ রান।
বড় টার্গেট। রেলিগেশন লিগে থাকা শাইন পুকুরের জন্য জেতা অনেকটা অসম্ভবই। তারপরও দেখার বিষয় ছিল কতটা লড়াই করতে পারে। কিন্তু সেই লড়াইটাও তাদের করা সম্ভব হয়নি। শক্ত হাতে কেউই হাল ধরতে না পারাতে মাত্র ৩৭.১ ওভারে ১৭৭ রানে তারা অলআউট হয়ে যায়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন অমিত হাসান। গাজী মো. তাহজিবুল ইশাম করেন ৩৬ রান। এনামুল হক ৪১ রানে নেন ৪টি করে উইকেট। মাহমুদুল হাসান ৩৪ রানে ৩ উইকেট। এ ছাড়া, ২ উইকেট নেন টিপু সুলতান।
এমপি/এমএমএ/