শান্তর সেঞ্চুরিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আবাহনী
বিপিএল থেকে জাতীয় দলের হয়ে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট ছিল তরবারি। যে তরবারি দিয়ে তিনি রীতিমতো শাসন করেছেন দেশি-বিদেশি বোলারদের। কিন্তু এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট আসর ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ খেলতে এসে তিনি আর রানের দেখা পাচ্ছিলেন না। দুটি ম্যাচ খেলে ২১ ও ২ রান করেছিলেন। সেই নাজমুলের ব্যাট আবার রানের দেখা পেয়েছে। সেই দেখা মিলেছে আবার একেবারে তিন অঙ্কের ফিগারে।
রবিবার (১৬ এপ্রিল) সিটি ক্লাবের বিপক্ষে শান্তর অপরাজিত ১০২ রানের ইনিংসে ভর করে আবাহনী জয় পেয়েছে ৫ উইকেটে। এই জয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে আবাহনী সুপার লিগ শুরু করবে। ২০ পয়েন্ট আছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবেরও। কিন্তু নেট রান রেটে তারা আবাহনীর পরে আছে। অপরদিকে এই ম্যাচ জিততে পারলে যদি আর কিন্তুর হিসেবে সিটি ক্লাবেরও সুপার লিগ খেলার একটা সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু হেরে গিয়ে তারা ৮ পয়েন্ট নিয়ে চলে গেছে নিরপেক্ষ জোনে। শেষ করেছে এবারের মৌসুম। পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান আটে।
বিকেএসপির ৪ নাম্বার মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সিটি ক্লাবের ব্যাটসম্যানরা আবাহনীর স্পিনারদের ঘূর্ণিতে পড়ে ছটফট করতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা ৩৩ রানে হারায় শেষ ৬ উইকেট।
শুরুতে তৌফিক খান তুষারের ব্যাটে ভর করে সিটি ক্লাব বড় সংগ্রহের দিকেই এগোচ্ছিল। দলীয় ১১৬ রানে তৌফিক খান তুষার মাত্র ৫১ বলে ৬ ছক্কা ও ৭ চারে ৭৯ রান করে আউট হওয়ার পর বিপর্যয় নামে সিটির ইনিংসে। এরপর আর তাদের কোনো ব্যাটসম্যান কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারেননি। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন (২২)। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ২৯ রানে নেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেটে নেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও তানভীর ইসলাম।
জবাব দিতে নেমে আবাহনীর সফল দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় (১) ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ (০) শুরুতেই আউট হলেও রুখে দাঁড়ান নাজমুল। মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে তিনি তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১০৫ রান যোগ করে দলের জয় সহজ করে দেন। মাহমুদুল ৩৯ রান করে ফিরে গেলেও নাজমুল আর আউট হননি। আফিফ ০ ও মোাসাদ্দেক ১১ রান করে আউট হলেও নাজমুল রিশাদকে নিয়ে দলের জয়ের বাকি কাজ সারেন। তিনি নিজে ১১২ বল খেলে ৩ ছক্কা ও ১১ চারে ১০২ রান করে অপরাজিত থেকে জিতে নেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। রিশাদ অপরাজিত ছিলেন ১২ রানে। সিটি ক্লাবের রবিউল হক ৩৮ রানে নেন ৪ উইকেট।
এমপি/এসজি