শাইনপুকুরের আশ্চর্যপতন, হারল ২৩ রানে
জয়ের জন্য শেষ ১৫ ওভারে প্রয়োজন ছিল মোটে ৪৩ রান, হাতে ছিল ৬ উইকেট। তখন জয়টা কেবল সময়ের অপেক্ষা ছিল শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের কাছে। অস্বাভাবিকভাবে সহজ এই সমীকরণ মেলাতে পারেনি তারা। তাতে সিটি ক্লাবের বিপক্ষে জেতা ম্যাচ হাতছাড়া করেছে শাইনপুকুর। আশ্চর্যপতনে হারতে হয়েছে ২৩ রান ব্যবধানে।
বুধবার (৫ এপ্রিল) ফতুল্লায় খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে অল্পতেই থামে সিটি ক্লাব। ৪৯.২ ওভারে তারা অলআউট হয় ২২৬ রানে। এরপর বোলারদের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে অল্প পুঁজি নিয়েও অবিশ্বাস্য এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আসিফ আহমেদের দল।
রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় শাইনপুকুর। মফিজুল ইসলামকে (১) মাঠছাড়া করেন পেসার আসিফ হাসান। শুরুর সেই ধাক্কা দারুণভাবে সামলে নেন জিশান আলম এবং অমিত হাসান। দুই টপ-অর্ডার ব্যাটার মিলে দলের খাতায় যোগ করেন ১৩০ রান।
দারুণ খেলতে থাকা জিশান পড়েন রানআউটের ফাঁদে। সাজঘরে ফেরার আগে ৭৫ বলে ৪ চার ও ৭ ছক্কায় ৮৬ রান করেন এই ওপেনার। জিশান ফেরার পর একে একে তার পিছু ধরেন প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চাল (৮), অমিত হাসান (৫৩) এবং আমিনুল ইসলাম (৩)। তখন ৩৫.২ ওভারে শাইনপুকুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৮৪ রান।
এরপরই আশ্চর্যপতন ফরহাদ রেজাদের। মাত্র ৩৮ বলের মধ্যে শেষ ৫ উইকেট হারায় শাইনপুকুর এবং করতে পারে মোটে ১৯ রান! সবমিলে ২০৩ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। বোলারদের শেষ বেলার চমকে এমন অবিশ্বাস্য কিছু করে দেখাতে পেরেছে সিটি ক্লাব।
সিটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন রবিউল হক। ইফরান হোসেন ও রাফসান আল মাহমুদ ২টি করে এবং আসিফ হাসান ও মাজ সাদাকাত ১টি করে উইকেট
শিকার করেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন সাদাকাত। উইকেট শিকারের পাশাপাশি ম্যাচে দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি এবং নেন দুটি ক্যাচও।
এদিন সিটি ক্লাব লড়াকু পুঁজি পায় উপরের সারির তিন ব্যাটারের নৈপুণ্যে। হাফ সেঞ্চুরি হাঁকান সাদাকাত (৬৫) ও শাহরিয়ার কমল (৫৪)। ওপেনার তৌফিক খানের ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। এরপর বোলারদের সাহসী বোলিংয়ে ডিপিএলে জয়ের হ্যাটট্রিক করে তাদের দল।
৭ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে আছে সিটি ক্লাব। সমান ম্যাচ খেলা শাইনপুকুরের ঝুলিতে জমা পড়েছে ৪ পয়েন্ট। অবস্থান করছে নবম স্থানে।
এসজি