সাকিব-মুশফিকের হাফ সেঞ্চুরিতে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ
দুই সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব-মুশফিকের মারমুখী ব্যাটিংয়ে দিনের শুরুতে উইকেট হারানোর চাপ সামলে বাংলাদেশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৭০ রান। আয়ারল্যান্ডের করা ২১৪ রান থেকে তারা এখনো পিছিয়ে আছে ৪৪ রানে। সাকিব ৭৪ ও মুশফিক ৫৩ রান নিয়ে লাঞ্চের পর আবার ব্যাট করতে নামবেন।
প্রথম দিনের শেষ বলে তামিম আউট হয়ে যাওয়াতে আজ দ্বিতীয় দিন মুমিনুলের সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে যোগ দেন মুশফিকুর রহিম।
দিনের প্রথম বলে বাউন্ডারি মেরে শুরু করা মুমিনুল কিন্তু খুব বেশি সময় টিকতে পারেননি। দিনের তৃতীয় ওভারেই তিনি ফিরে যান। মার্ক অ্যাডায়ের লেগ স্ট্যাম্পের বল ফ্লিক করতে গিয়ে বার্থ হন। বোল্ড হয়ে যান।
সাকিব এসে মুশফিকের সঙ্গে জুটি গড়ার পর প্রতিরোধ গড়ে তুলার চেষ্টা করেন। সাকিব নিজের প্রথম বলেই চার মেরে শুরু করলেও দুই পেসার মার্ক আর গ্রায়াম হিউমের বল খেলতে বেশ অস্বস্তিতে ছিলেন। মুশফিকও তাই ছিলেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দুই জনে স্বাভাবিক হয়ে আসেন।
মূলত দুই পেসার আক্রমণ থেকে সরে যাওয়ার পরই সাকিব-মুশফিক খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসেন। ওয়ানডে মেজাজে খেলতে থাকেন তারা। প্রায় বলে বলে আসতে থাকে রান। মুশফিক সাবধানে খেললেও সাকিব আক্রমণকেই প্রধান হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেন এবং সফলও হন। ৪৫ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩১তম ফিফটি। বেন হোয়াইটকে পরপর দুই চার হাঁকিয়ে তিনি ফিফটি পূর্ণ করেন। বাউন্ডারি ছিল ৯টি। মুশফিকও ক্যারিয়ারে তার ২৬তম ফিফটি তুলে নেন ৬৯ বলে ১ ছক্কা ও ৪ চারে।
সাকিব-মুশফিক জুটিতে ৫০ রান আসে ৫৪ বলে, শতরান আসে ১০৯ বলে। সাকিব ৬৩ ও মুশফিক ৩৩ রানের অবদান রাখেন। সাকিব-মুশফিক জুটির এটি ছিল শতরানের পঞ্চম জুটি। ইনিংস খেলেছেন ৬৫টি এ রকম ৫টি শতরানের জুটি আছে হাবিবুল বাশার সুমন ও জাভেদ ওমর বেলীম গুল্লুর। তারা খেলেছিলেন ৩২ ইনিংস।
দুই জনের মারমুখী ব্যাটিংয়ে আয়ারল্যান্ডের সৃষ্ট চাপ আলগা হতে খুব বেশি সময় লাগেনি। চাপমুক্ত হয়ে বাংলাদেশ উল্টো চাপ তৈরি করতে শুরু করে আইরিশদের উপর। দুই জনে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ২৪.২ ওভারে ১৩০ রান যোগ করেছেন।
এমপি/আরএ/