সাকিবের সঙ্গে দ্বন্দ্বের ব্যাখ্যা তামিমের প্রস্তুতি ছিল শনিবার রাত থেকেই
বলা যায়, খেলোয়াড়ি জীবনের শেষপ্রান্তে তামিম ইকবাল। ক্যারিয়ারের সেই শুরু থেকেই তার উপর স্পটলাইট। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করার পরপরই ২০০৭ সালে খেলতে যান উইন্ডিজে বিশ্বকাপ ক্রিকেট। সেখানে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচেই জহির খানের মতো গতিসম্পন্ন পেসারকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কা মেরে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। এই ছক্কা তাকে নতুন করে সবার সামনে নিয়ে আসে। শুরু হয় তাকে নিয়ে মিডিয়ার আগ্রহ। সেই তামিম আজ (২৬ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছেন, একটি কক্ষে এত সাংবাদিক এর আগে তিনি কখনো দেখেননি।
তামিম ইকবালের এরকম বিস্ময় জাগানো উক্তি সাকিব আল হাসানকে নিয়ে তার দ্বন্দ্বের বিষয়টি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন প্রকাশ্যে নিয়ে আসার কারণে। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ক্রিকবাজ’-দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাজমুল হাসান পাপন এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।
এতে করে প্রকাশ পায় অন্দরমহলের খবর। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দেশের প্রায় সব সংবাদমাধ্যমই এ নিয়ে বেশ গুরুত্ব দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। এদিকে আজ ছিল আবার ইংল্যান্ড সিরিজকে সামনে রেখে দুই দলের অধিনায়কের সংবাদ সম্মেলন।
অন্যসময় হলে সংবাদ সম্মেলন শুধুমাত্র সিরিজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকত। কিন্তু এবার আর তা হয়নি। স্বাভাবিক কারণই তামিমের সংবাদ সম্মেলনে তার ও সাকিবের বিষয়টি আসবে অনুমিতই। তামিমও তা জানতেন। যে কারণে গতকাল শনিবার রাত থেকেই ছিল এ নিয়ে প্রস্তুতি। কী বলবেন, না বলবেন। সাংবাদিকদের অধিক সংখ্যার উপস্থিতিও সেই কারণে। এমন নয় যে ইংল্যান্ড দল এসেছে বলে। কারণ তারা এর আগেও বাংলাদেশে অনেকবার এসেছে।
সাকিবের সঙ্গে দ্বন্দ্বের বিষয়টি উঠতেই তামিম কোনোরকম রাখঢাক না করেই বলেন, ‘কালকে (শনিবার) থেকেই প্রস্তুত ছিলাম আমি। এত সাংবাদিক এক রুমে এর আগে কখনো দেখিনি। আই ওয়াজ প্রিপেয়ার্ড। আমি জানতাম এ ধরনের প্রশ্ন আসবে। এটি আমার জন্য খুবই ইজি যেকোনো কমেন্টস না করা, অর মুভ ফরোয়ার্ড। সিরিজ নিয়ে কথা বলি। আমার কাছে মনে হয় আমার ম্যাসেজটাও খুব ইম্পর্টেন্ট। নট অনলি জার্নালিস্ট, ভক্ত যারা আছেন, যারা সাকিবকে পছন্দ করেন, আমাকে পছন্দ করেন, অন্য যাদের পছন্দ করেন। আমারা কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমরা মাঠে কী করি, অন্য কিছু না। আমি, সাকিব যখন বাংলাদেশের জার্সি পরে মাঠে নামি, চেষ্টা করি সেরাটা দেওয়ার। আমি যখন অধিনায়ক হিসেবে তার কাছে পরামর্শ চাই, সে সহায়তা করে। আবার সে যখন অধিনায়ক হিসেবে আমার সহযোগিতা চায়, আমি দিয়ে থাকি। এর বাইরে আর কিছু না। আর তা ম্যাটারও করে না।’
এমপি/এসজি