নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা যেভাবে ফাইনালে
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক পাশে অস্ট্রেলিয়া থাকলেও অন্য পাশে পরিবর্তন হয়ে থাকে। সেই পরির্তনের ধারাবাহিকতায় এবার সেখানে প্রথমবারের মতো নাম লিখিয়েছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা।
দুই দল ফাইনালে এসেছে আবার একই ‘এ’ গ্রুপ থেকে। চার ম্যাচে পূর্ণ ৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা রানার্সআপ হয় নেট রান রেটে। তাদের পয়েন্ট ছিল ৪। সমান পয়েন্ট ছিল নিউজিল্যান্ডের এবং শ্রীলঙ্কারও।
গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়া প্রতিটি ম্যাচ জিতেছে সহজেই। প্রথম ম্যাচে তারা নিউজিল্যান্ডকে ৮৭ রানে ধরাশায়ী করে। অস্ট্রেলিয়ার ৯ উইকেটে ১৭৩ রান করে। জবাব দিতে নেমে নিউজিল্যান্ড অলআউট হয় ১৪ ওভার খেলে মাত্র ৭৬ রানে।
দ্বিতীয় ম্যাচে অজিদের প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ। এবার তারা জয় পায় ৮ উইকেটে। বাংলাদেশের ৭ উইকেটে করা ১০৭ রানের জবাব অস্ট্রেলিয়া দিয়েছিল ২ উইকেট হারিয়ে ১৮.২ ওভারে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরের ম্যাচে তার জয়ী হয়েছিল ১০ উইকেটে। শ্রীলঙ্কার ৮ উইকেটে করা ১১২ রান অস্ট্রেলিয়া কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৫.৫ ওভারে অতিক্রম করে।
আজকের ফাইনালের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা গ্রুপ পর্বে ছিল তাদের শেষ প্রতিপক্ষ। এখানেও অজিদের জয় আসে সহজেই ৬ উইকেটে। আগে ব্যাট করে প্রোটিয়ারা ৬ উইকেটে ১২৪ রান করে। সেই রান তাড়া করতে অজিদের হারাতে হয়েছিল ৪ উইকেট। ওভার খেলতে হয়েছিল ১৬.৩টি।
অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারা ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকা হার মেনেছিল নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ৩ রানে। শ্রীলঙ্কার করা ৪ উইকেটে ১২৯ রানের জবাব দিতে নেমে স্বাগতিকরা করতে পেরেছিল ৯ উইকেটে ১২৬ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম জয় পায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৫ রানের বড় ব্যবধানে। দক্ষিণ আফ্রিকার ৬ উইকেটে ১৩২ রানের জবাব দিতে নেমে নিউজিল্যান্ড অলআউট হয়েছিল ১৮.১ ওভারে মাত্র ৬৭ রানে।
দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ ম্যাচের প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ। সেমিতে যাওয়ার প্রশ্নে তাদের জয়ের বিকল্প ছিল না। সেই ম্যাচ তারা জিতেছিল ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানেই। বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১১৩ রান করে। দক্ষিণ আফ্রিকা ১৭.৫ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে জয় তুলে নিয়ে সেমির টিকিট পেয়ে যায়।
এমপি/আরএ/