মিসাইল না থাকলে গেরিলা যুদ্ধ!
‘হোম গ্রাউন্ড’ সুবিধা কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ছিল পুরোই অপরিপক্ক। বিদেশের মাটিতে যেভাবে হার মানত ঘরের মাঠেই একই পরিণত বরণ করতে হয়েছে। এখানে শিকল ভাঙার গান প্রথম গায় বাংলাদেশ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের আমলে। ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ টেস্টে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় পেয়েছিল। পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিতেছিল ওয়ানডে সিরিজ।
এর মাঝে পাকিস্তানকে করেছিল তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ। এবারও কি সেই ধারার পুনঃচিত্রায়ন দেখা যাবে? যথারীতি হাথুরুসিংহে কৌশলী! সরাসরি জবাব না দিয়ে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘ঘরের মাঠের সুবিধা বলে কী বোঝায়? আমরা যখন নিউজিল্যান্ডে খেলতে যাই, তখন কী ধরনের উইকেটে খেলি? ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া তাদের ঘরের মাঠে কী করে? ঘরের মাঠে ভারত এখন কী করছে?
এরপর তিনি বিজ্ঞ সেনাপতির মতো করে বলেন, ‘আমরা যখন দেশের বাইরে খেলতে যাই, আমরা কী করে থাকি? আমাদের যা আছে, আমরা তা দিয়েই লড়াই করে থাকি। আমাদের যদি ‘মিসাইল’ না থাকে, আমরা কীভাবে লড়াই করব? কিন্তু আমরাতো হাল ছেড়ে দিতে পারি না। আমাদের তখন গেরিলা যুদ্ধ করতে হবে। ওরা আমাদের এখানে আসুক। আমরা ছোট ছোট অস্ত্র নিয়ে ওদের সঙ্গে লড়ব। কিন্তু আমাদের যদি কোনোরকম অস্ত্রই না থাকে তাহলে আমাদের পক্ষে কিছুই করা সম্ভব হবে না। আমরা খেলোয়াড় গড়ে তুলতে পারি শুধু।’
রণক্ষেত্রে যুদ্ধ করার মতো বর্ণনা দিয়ে হাথুরুসিংহে পরে বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক সাফল্য তুলে ধরে বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায়, নিউজিল্যান্ডে ভালো করেছে। ফাস্ট বোলার যারা উঠে আসছে আমরা একটু আগে (সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে) তাদের নিয়ে আলোচনা করেছি। আমার প্রথম নিউজিল্যান্ড সফরের সময় ইবাদত হোসেন ছিল ডেভেলপমেন্ট প্লেয়ার, নাজমুল হোসেন শান্তও। ওরাই এখন ভালো করছে। তাই এটা করতে সময় লাগে। সব দেশই তা-ই করে। ঘরের মাঠের সুবিধা আমাদের নিতে হবে। খেলতে হবে নিজেদের শক্তি অনুযায়ী।’
এমপি/এসজি