ওয়ানডে বিশ্বকাপের সাফল্য নিয়ে কৌশলী হাথুরুসিংহে!
বাংলাদেশ দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলছে সেই ১৯৮৬ সাল থেকে। কিন্তু আইসিসির টেস্ট স্ট্যাটাস না পাওয়ায় এবং বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেলার সুযোগ করে নিতে না পারার কারণে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেত কালে-ভাদ্রে। বলা যায় এখানে একমাত্র প্ল্যাটফর্মই ছিল এশিয়া কাপ। কিন্তু ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর বাংলাদেশ নিয়মিত আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়। কিন্তু পেলেও সাফল্য সেভাবে আসেনি। তারপরও বলার মতো সাফল্য আসে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কোচিংকালে।
হাথুরুসিংহের প্রথম মেয়াদ ছিল ২০১৪ সালের জুন থেকে ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। এসময় টেস্টে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল। ঘরের মাঠে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। এর মাঝে পাকিস্তানকে করেছিল তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ। এ ছাড়া ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল খেলেছিল ২০১৭ সালে। যদিও তার চলে যাওয়াটা সুখকর ছিল না। ছিল বিব্রতকর। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ছিল। সফর শেষ হওয়ার আগেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তার এরকম বিদায় তখন বিসিবি থেকে শুরু করে অনেকেই ভালোভাবে নেননি। তারপরও তাকে ফিরিয়ে আনার কারণ তার ওই সাফল্য আর কড়া হেড মাস্টারের ভূমিকা। আবার তাকে পাওয়াও যাবে বছরজুড়ে।
হাথুরুকে ফিরে পেয়ে বাংলাদেশের অতীত সাফল্যগুলো আবার সামনে চলে এসেছে। বারবার করা হচ্ছে স্মৃতিচারণ। সংবাদ সম্মেলনেও উঠেছে সেই সব সাফল্যের কথা। দ্বিতীয় মেয়াদে তাকে পেয়ে সেই সব সাফল্য ডিঙিয়ে আরও শিখরে দেখতে আশার জাল বুনন শুরু করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। সম্ভব কি হবে হাথুরুসিংহের পক্ষে তা পূরণ করার! সরাসরি জবাব দেননি হাথুরুসিংহে। তার কথায় ছিল কূটনৈতিকের মতো। হালকা হেসে জবাব দেন, ‘খুব বড় একটা প্রশ্ন। এটা আমরা সব সময়ই চাই। কিন্তু চাইলেইতো আর হবে না। এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। সময়ই বলে দেবে। আমরা এখন সেরা চারে নেই। তাই আমি যদি বলি এটা করে দেখাব, সেটা কিন্তু বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।’
আগের মতো ভালো করতে হলে তিনি বলেন, ‘এখনো আামাদের কিছু জায়গায় উন্নতি করতে হবে। বাছাই করতে হবে সেরা কম্বিনেশন। বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলোয়াড়রা যেন নিজেদের সেরা ফর্মে থাকতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। দেখি সামনে কী অপেক্ষা করছে।’
তাহলে আগের সাফল্য কি তার জন্য চাপ হয়ে গেল? এখানেও হাথুরুসিংহে ছিল কৌশলী। তিনি বলেন, ‘কোচদের চাকরি সব সময় চাপের। ভালো করলে প্রশংসা পাওয়া যায়। চাকরি টিকে যায়। ভালো করতে না পারলে কোচের দিকেই আঙুল উঠে সবার। ওয়ানডে ক্রিকেটেই আমরা শুধু ভালো খেলে থাকি। তাই আগামী বিশ্বকাপ নিয়ে আমাদের সবারই প্রত্যাশা বেশি। এটা নির্ভর করছে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী আমরা কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। দলের মূল খেলোয়াড়সহ অন্যরা বিশ্বকাপের আগে কতটা ফিট এবং সুস্থ থাকেন।
এমপি/এসজি