ব্লান্ডেলের সেঞ্চুরির পরও পিছিয়ে নিউজিল্যান্ড
ইংল্যান্ডের সেরা বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে দারুণ লড়লেন টম ব্ল্যান্ডেল। খেললেন ১৩৮ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। তবুও প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৩২৫ রানের সংগ্রহ টপকাতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। বরং ৯৮ রানে পিছিয়ে থেকে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে স্বাগতিকরা।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মাউন্ড মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে দিবা-রাত্রির টেস্টে নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ৩০৬ রানে। ডেভন কনওয়ের হাফসেঞ্চুরির পর ব্লান্ডেলের সেঞ্চুরিতে তিনশ ছাড়ায় কিউইদের সংগ্রহ। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ২ উইকেটে ৭৯ রানের সংগ্রহ নিয়ে দিনের খেলা শেষ করে ইংল্যান্ড।
৩ উইকেটে ৩৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে নিউজিল্যান্ড। প্রথম সেশনে হারায় দুই উইকেট। নেইল ওয়েগনারকে (২৭) আউট করেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ড্যারিল মিচেলকে রানের খাতা খুলতে দেননি ওলি রবিনসন। উইকেটে থিতু হওয়া কনওয়েকে দ্বিতীয় সেশনে প্যাভিলিয়নে পাঠান বেন স্টোকস। কিউই ওপেনার আউট হন ৭৭ রানে।
প্রথম ইনিংসে বড় কোনো জুটি গড়তে পারেনি স্বাগতিকরা। তবে কনওয়ের পর দলের হাল ধরেন ব্লান্ডেল। উইকেটের একপ্রান্ত আগলে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। ১৮১ বলে তার ১৩৮ রানের ইনিংসে ছিল ১৯ চার ও ১ ছক্কার মার। বোলিংয়ের পর ফিরতি ক্যাচে প্রতিপক্ষের উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান জিমি অ্যান্ডারসন।
দলীয় সংগ্রহে ছোট ছোট অবদান ছিল মাইকেল ব্রেসওয়েল (৭), স্কট কুগেলিন (২০) এবং টিম সাউদির (১০)। ইংল্যান্ডের সফল বোলার ছিলেন রবিনসন। তিনি শিকার করেন ৪ উইকেট। অ্যান্ডারসন ৩টি এবং ব্রড, জ্যাক লিচ ও স্টোকস ১টি করে উইকেট পান।
এরপর দ্বিতীয় ইংনিসে ব্যাটিং নেমে দ্বিতীয় দিনেই দুই ওপেনারকে হারায় ইংলিশরা। জ্যাক ক্রাউলি ও বেন ডাকেটের ৫২ রানের জুটি ভাঙেন ব্লেয়ার টিকনার। ডাকেটকে (২৫) টম লাথামের ক্যাচ বানান তিনি। কুগেলিন ফেরান আরেক ওপেনার ক্রাউলিকে। ব্যক্তিগত ২৮ রানে কিপার ব্লান্ডেলকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।
দুই উইকেট হারিয়ে নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে স্টুয়ার্ট ব্রডকে নামায় সফরকারীরা। তাকে সঙ্গে নিয়েই দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন পোপ। তিনি অপরাজিত আছেন ১৪ রানে। ব্রড নতুন দিন শুরু করবেন ৬ রান নিয়ে।
এসজি