নিগারদের পাশে পাচ্ছেন লতা
ফাঁস হয়েছে লতা মণ্ডল ও সোহেলী আক্তারের গোপন ফোনালাপ, যা নিয়ে তোলপাড় ক্রিকেটপাড়া। বিষয়টি এখন আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের (আকসু) তদন্তাধীন একটি বিষয়। কঠিন এই সময়ে নিগার সুলতানা জ্যোতি ও পুরো দলকে পাশে পাচ্ছেন লতা।
বিশ্বকাপ খেলতে লতা জাতীয় দলের সঙ্গে এখন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। আইসিসি ইভেন্টে তাকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা সোহেলী। দুইজনের সেই ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে মিডিয়ায়। তাতে শোনা যায়, স্টাম্পিং হলে মোটা অঙ্কের অর্থ পাওয়ার প্রস্তাব পেয়েছেন লতা।
শ্রীলঙ্কা ম্যাচ খেলতে নেমে স্টাম্পিংই হন লতা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরের ম্যাচে তাকে আর একাদশে রাখেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। কারণ ততক্ষণে বিষয়টি লতা নিজেই জানান কর্মকর্তাদের কাছে। তবে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে বা ম্যাচ চলাকালীন বিষয়টি অজানা ছিল নিগারদের।
ম্যাচ গড়ানোর বিষয়টি কতদূর এগিয়ে? লতা কি আসলেই ফিক্সিং করেছেন? এমন প্রশ্নই ছিল নিগারের কাছে। জবাবে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘(অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে) আমরা ম্যাচের আগে বা ম্যাচ চলাকালীন এটা জানতাম না। আমাদের টিম ম্যানেজমেন্ট এটা খুব ভালোভাবে এটা সামাল দিয়েছে।’
নিগার যোগ করেন, ‘আমি জানি যে যদি নাও চায় কিন্তু ব্যাক অব মাইন্ড এগুলো অনেকভাবে কাজ করে। টিম ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ। তারা জানত এই ব্যাপারটা। তবুও আমাদের জানায়নি। তারা চায়নি আমাদের মাইন্ডটা অন্য দিকে যাক। সেক্ষেত্রে আমরা কিন্তু ম্যাচ শেষে বিষয়টা জানতে পেরেছি।’
লতার পক্ষ নিয়ে নিগার বলেন, ‘যাকে উদ্দেশ্য করে এটা হয়েছে সে খুব একটা ভালো কাজ করেছে রিপোর্ট করে। এখন এটা আকসু দেখছে। আমরা কাছে মনে হয় না এটা টিমে বাকিদের উপর প্রভাব ফেলবে। ব্যাপারটা লতা আপুর জন্য কঠিন। আমরা সবাই তাকে সমর্থন দিচ্ছি যাতে সে মানসিকভাবে শক্ত থাকতে পারে।’
অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ কেন লতাকে খেলানো হয়নি তার ব্যাখ্যায় টাইগ্রেস দলপতি বলেন, ‘টিম কম্বিনেশনের জন্য এটা হয়েছে। অনেকেই বলতে পারেন যে ওটা এই কারণে হতে পারে। আসলে তা নয়। এটা টিমের জন্যই হয়েছে। উইকেট বিবেচনায় আমরা তাকে না খেলিয়ে একজন স্পিনারকে খেলিয়েছি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটা সেরা উপায় মনে হয়েছিল, তাই তাকে খেলানো হয়নি।’
এসএন