মাশরাফি, না ইমরুল- কার হাসি কে হাসবে?
এ এক অম্ল মধুর ফাইনাল!
মাশরাফি চারবার ভিন্ন দলকে নেতৃত্ব দিয়ে চারবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। ২০১২ ও ২০১৩ সালে প্রথম দুইবার ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সকে নেতৃত্ব দিয়ে। পরের দুইবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও রংপুর রাইডর্সকে। ২০১৫ সালে কুমিল্লাকে ও ২০১৭ সালে রংপুর চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
ইমরুল কায়েসও কম যাননি। ফাইনালে উঠে তিনিও কখনো হারেননি। একবার চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য হয়ে, পরের দুইবার অধিনায়ক হিসেবে। ইমরুল কায়েস তিনবার একই দলের খেলোয়াড় ছিলেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। ২০১৫ সালে প্রথম তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি। পরের দুইবার ২০১৯ ও ২০২২ সালে ছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের অধিনায়ক।
আবার কুমিল্লা ফাইনালে উঠে কখনো হারেনি। বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা এর আগে আরও দুইবার ফাইনালে উঠে বিপিএলের মুকুট জয় করেছিল ২০১৫ ও ২০১৯ সালে। আর সিলেটের তো হারের প্রশ্নই আসে না। কারণ এর আগে তারা কখনই ফাইনাল খেলেনি। এটিই তাদের প্রথম ফাইনাল।
কাজেই ফাইনাল মানেই বিজয়ের হাসি, সেখানে আজ আর তা থাকছে না। হয় মাশরাফি, না ইমরুল, না কুমিল্লা একটি পক্ষকে আজ হারতেই হবে।
মাশরাফি জিতলে অধিনায়ক হিসেবে হবে পঞ্চম শিরোপা।আর ইমরুল কায়েস জয়ী হলে অধিনায়ক হিসেবে জিতবেন তৃতীয় শিরোপা। চলে আসবের মাশরাফির কাছাকাছি। তবে অধিনায়ক হিসেবে না হলেও চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মাশরাফির সমান চারবার তারও হয়ে যাবে।
ইমরুলের মতোই কুমিল্লাও জিতলে তাদের হবে চতুর্থ শিরোপা। সিলেট জিতলে হবে প্রথম।
দেখার বিষয় কার হাসি কে হাসে?
এমপি/এসএন