ফাইনালের ‘অপয়া’ দূর করতে চান শান্ত
ব্যাটে-বলে দারুণ সময় পার করছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৪ ম্যাচের সব কটিতেই ব্যাটিং করে ৪৫২ রান করে আছেন সবার উপরে।
আগমীকাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে আবার নামবেন দলকে শিরোপা এনে দিতে।
কিন্তু নাজমুল কি পারবেন বিপিএলেন ইতিহাসে একমাত্র দল হিসেবে প্রথমবার ফাইনাল খেলা সিলেটকে শিরোপার স্বাদ এনে দিতে। সিলেটের এই পর্যন্ত আসার পেছনে নাজমুলের ব্যাটেও যে বেশ ভরসা পেয়েছে সিলেট।
সিলেট প্রথমবার ফাইনাল খেললেও নাজমুলের কিন্তু প্রথম ফাইনাল নয়। এটি তার তৃতীয় ফাইনাল। কিন্তু ফাইনাল যেন নাজমুলের জন্য এক হতাশার চাদরে ঢাকা। এর আগে তিনি দুইবার ফাইনাল খেলে একবারও শিরোপার স্বাদ নিতে পারেনি।
গতবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে ফাইনালে ফরচুন বরিশালের হয়ে ১২ রান করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার আগেরবার তিনি ফাইনাল খেলেছিলেন খুলনা টাইগার্সের হয়ে রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে।
ওপেন করতে নেমে কোনো রানই করতে পারেনি নাজমুল। এবার কী অপেক্ষাে করছে তার জন্য। তার ব্যাচ হাসলে, সিলেট জিতলে এক ঢিলে যে দুই পাখি মারা হবে তার।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে ফাইনাল ম্যাচকে নামনে রেখে দলের প্রতিনিথিধ হয়ে কথা বলতে এসে নাজমুল জানালেন তার সেই আকাঙক্ষার কথা।
তিনি বলেন, ‘এবার আরেকটি সুযোগ। ভালো ক্রিকেট খেলে ম্যাচটা যেন জিততে পারি। এটাই মেইন টার্গেট। ঐ পার্টিকুলার ডেতে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ব্যাক্তিগত পরফরম্যান্সের চেয়ে ট্রফি জিততে পারলে আমার ক্যারিয়ারের জন্য ভালো হবে। ভবিষ্যৎয়ে আমি হয়তো বলতে পারব আমি ঐ দলের পার্ট ছিলাম।’
মাশরাফির নেতৃত্বর ভূয়সী প্রশংসা করে নাজমুল বলেন, ‘ মাশরাফি ভাই অবশ্যই খুব ক্যাপ্টেনসি করছেন। দলের প্রত্যোকটা খেলোয়াড় ভালো সময় যেমন পাশে থাকেন, তেমনি থারাপ সময়ে।’
দলের পরিবেশ খুব ভালো বলেই তারা ফাইনালে আসতে পেরেছে বলেও জানান নাজমুল।
প্রতিপক্ষ কুমিল্লা দেশি-বিদেশি বিশেষ করে মঈন আলী, সুনিল নারিন, আন্দ্রে রাসেলর মতো ক্রিকেটারকে নিয়ে খুবেই শক্তিশালী দল। কিন্তু নাজমুলের কাছে এই সবের জন্য আলাদা কোনো নাম্বার নেই।
তিনি বলেন, ‘পার্টিকুলার ডেতে যে দল ভালো খেলবে, সেই দলই চ্যাম্পিয়ন হবে। তাই আমরা কাদের বিপক্ষে খেলছি, ঐ দল কত বড় ক্রিকেটার আছে, ঐ সব নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।
এমপি/এমএমএ/