আজও কি বিদেশিরা নিয়ামক হবেন
বিপিএলে হঠাৎ ছন্দ পতন সিলেট স্ট্রাইকার্সের। চলতি আসরে শুরু থেকে শীর্ষ স্থান ধরে রেখে প্লে-অফ খেলতে আসা সিলেটের এই ছন্দ পতনের কারণ মান সম্পন্ন বিদেশি ক্রিকেটারের ঘটতি। লিগ পর্বে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের নৈপুন্যের সঙ্গে দেশি ক্রিকেটারদের সাফল্য সিলেটকে শক্তিশালী দলে পরিণত করেছিল। কিন্তু পিএসএলের কারণে সব দলেরই পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা চলে গেছেন। এই সব চলে যাওয়া ক্রিকেটারদের শূন্য স্থান পূরণ করতে প্লে-অফে উঠা দলগুলো নিজেদের সামর্থ্য ঢেলে দিয়ে নতুন করে বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে আসে। আর এখানেই পিছিয়ে পড়ে ফরচুন বরিশাল ও সিলেট স্ট্রাইকার্স। বিপরীতে রংপুর রাইডার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস বাজিমাত করে বিশ্বের সেরা সেরা ক্রিকেটারদের দলে ভিড়িয়ে। এর সুফলও তারা ঘরে তুলেছে। বরিশালকে বিদায় করে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে দাপটের সঙ্গে টিকে আছে রংপুর। আর কুমিল্লার কাছে হেরে বিরাট ঝুঁকিতে সিলেটের ফাইনালে যাওয়া। দুই দলের জয়েই বড় ভূমিকা পালন করেছেন বিদেশিরা। সেখানে সিলেট ও বরিশালের বিদেশিরা ছিলেন চরমভাবে ব্যর্থ। আজ ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও রংপুর রাইডার্সের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচেও এই সব বিদেশিরা নিয়ামক হয়ে উঠবেন।
রংপুর রাইডার্স শোয়েব মালিক ও মোহাম্মদ নেওয়াজের মতো ক্রিকেটারের সার্ভিস না পেলেও তাদের বিকল্প হিসেবে নিয়ে আসে মজিবুর রহমান, শ্রীলঙ্কার দাসুন শানাকাকে। আর বরিশালের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সেরা একাদশে দুই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান নিকোলাস পুরান ও ডোয়াইন ব্রাভোকেও রেখে চমক দেখায়। এই চারজনই প্রথমবারর মতো এবার খেলতে নেমেছিলেন।
রংপুরের জয়ে নিকোলাস পুরা রান পাননি। তিনি মাত্র ৫ রান করে আউট হয়েছিলেন। ডুয়াইন ব্রাভোও ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকেন। ব্যাট হাতে করেন ২ রান। দাসুন শানাবা বল হাতে ১২ বলে অপরাজিত ১৫ রান ও বল হাতে ৩ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন। মজিবুর রহমান ৩ ওভারে মাত্র ১৯ রান দেন। যদিও তিনি কোনও উইকেট পাননি।
বরিশালের হয়ে মাঠ মাতানো ইফতেখার আহমেদের শূন্য স্থান পূর্ণ করতে পারেননি নতুন করে আসা আন্দ্রে ফ্লেচার কিংবা রাজা পাকসে। আন্দ্রে ফ্লেচার ১৬ বলে করেন ১২ রান। করিম জানাত ২৫ বলে ৩৩ রান ও রাজা পাকসে ১০ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। ডোয়াইন পিটোরিয়াসের মতো অলরাউন্ডারকে ব্যাট করতে পাঠায়নি বরিশাল । বল হাত তিনি ৩ ওভারে ৩২ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকেন।
রংপুরের তুলনায় সিলেটের বিপক্ষে কুমিল্লার ৪ বিদেশি ক্রিকেটারের অবদান ছিল খুব বেশি। সেখানে সিলেটের ৪ বিদেশির অবদান ছিল না বললেই চলে। কুমিল্লার চার বিদেশির নতুন ছিলেন শুধু মঈন আলী। তিনি বল হাতে ২ ওভারে ২০ রান দিয়ে ১ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে ১৩ বলে ২ ছক্কা আর ১ চারে ২১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। বাকি তিন বিদেশির মাঝে জনসন চার্লস ৪ আন্দ্রে রাসেল ১০ বলে ২ ছক্কায় অপরাজিত ১৫ রান করেন। আর ব্যাট হাতে আসল কাজটি করেন ইনিংসের উদ্বোধন করতে আসা সুনিল নারিন। তিনি ১৮ বলে ৪ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৯ রান করেন। এর আগে বল হাতে ৩.১ ওভারে ৮ রানে নিয়েছিলেন ১ উইকেট।
সিলেটের ৪ বিদেশির মাঝে নতুন ছিলেন আফগানিস্তানের অনুর্ধ্ব-১৯ দলের শফিকউল্লাহ গাফারি ও দক্ষিণ আফ্রিকার জর্জ লিন্ডে। গাফারি ৫ ও লিন্ডে ১৪ বলে ১৩ রান করেন। রায়ান বার্ল ইসুরু উদানা কোনো রান করতে পারননি। বল হাতে লিন্ডে ৪ ওভারে ২১ রান ও উদানা ২ ওভারে ১৫ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকেন। গাফারি ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছিলেন।
এমপি/এসআইএইচ