যে দুই ম্যাচে রংপুরের কাছ হেরেছিল সিলেট
এবারের বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্স যেন রেসের ঘোড়া। একটি করে ম্যাচ খেলে আর জিতে। পাত্তা পায়নি কোনো দলই। যদিও তাদের প্রথম হারের স্বাদ দিয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে। কিন্তু প্রথম মোকাবিলাতে তাদের বিপক্ষে আবার এই সিলেটই জিতেছিল ৫ উইকেটে। কিন্তু অপ্রতিরোধ্য সিলেটকে বারবার ‘কাবু’ করেছিল একমাত্র রংপুর রাইডার্সই। একবার নয়, দুই দুইবার।
১২ ম্যাচে ৯ জয় আর ৩ হারে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে প্লে অফে উঠে আসা সিলেট যে তিনটি ম্যাচে হেরেছিল, তার দুইটিই ছিল এই রংপুরের বিপক্ষে। দুইটি হারই ছিল অনেকটা বিনা যুদ্ধে হার মানার মতো। প্রথমে ৬ উইকেটে, পরে ৮ উইকেটে হার।
কুমিল্লার কাছে ৫ উইকেটে হারলেও সিলেট সেখানে লড়াই করেতে পেরেছিল। আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে মাত্র ১৩৩ রান করলেও সেই রান তাড়া করতে গিয়ে তারা কুমিল্লার ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিল। আর ওভার খেলতে হয়েছিল ১৯টি। কিন্তু রংপুরের কাছে দুইবার কোনো লড়াই করতে পারেনি। সেখানে ফুঠে উঠেছিল অসহায় আত্নসমপর্ন।
প্রথমবার সিলেট হেরেছেল নিজেদের মাঠে। খেলাটি ছিল আবার সিলেট ভেন্যুরও প্রথম ম্যাচ। সিলেট ৯ উইকেটে ৯২ রান করলেও এক পর্যায়ে বিপিএলের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয়ার শঙ্কা জেগেছিল ১৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে। পরে তানজিম হাসান সাকিব (৪১) ও মাশরাফির (২১) ব্যাটে ভর করে সিলেট নিজেদের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার লজ্জ্বার নতুন ইতিহাস রচনা করা থেকে রক্ষা পায়। রংপুর ১৫.৪ ও ভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয় পায়।
দুই দলের দ্বিতীয় মোকাবিলা ছিল মিরপুরে। এবারও আগে ব্যাট করে সিলেট। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়েনি। তৌহিদ হৃদয়ের অপরাজিত ৮৫ ও মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ৫৫ রানে ভর করে ২ উইকেটে ১৭০ রানের লড়াকু পূঁজি গড়ে। কিন্তু সেই রানও রংপুর পাত্তা দেয়নি। ২ ওভার হাতে রেখেই ২ উইকেট হারিয়ে সহজেই ম্যাচ জিতে নিয়েছিল। রনি তালুকদার ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ উদ্বোধনী জুটিতেই এনে দিয়েছিলেন ৯.৫ ওভারে ১০০ রান। রনি ৩৫ বলে ৬৫ ও নাঈম ৩২ বলে ৪৫ রান করেন। পরে শোয়েব মালিক এসে খেলেন আরেকটি ঝড়ো ইনিংস। তিনি ২৪ বলে ৪১ ও নুরুল হাসান সোহান ১৭ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।
আজ আবার এই দুই দল পরস্পরের মুখোমুখি। লক্ষ্য ফাইনাল। জয় পেলেই ১৬ ফেব্রুয়ারি ফাইনালের মঞ্চে অবতীর্ণ হবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে। রংপুর আজ মাঠে নামবে এলিমিনেটরে সাকিবের ফরচুন বরিশালকে হারানোর সুখ স্মৃতি নিয়ে। সেখানে সিলেটের সামনে রাজ্যের অন্ধকার। তারা নামবে কোয়ালিফায়ার-১ ম্যাচে কুমিল্লার কাছে হারের নোনা স্বাদ নিয়ে।
আজ যদি রংপুর জিততে পারলে সিলেটকে হারানোর হ্যাটট্রিক স্বাদ নিয়ে চলে যাবে ফাইনালে। আর সিলেট জিততে পারলে রংপুরের দুই জয়ের চেয়েও বেশি মূল্যবান হয়ে উঠবে আজকের জয়!
এমপি/আরএ/