ধূমপায়ী সুজনসহ ৪ জনের শাস্তি
খালেদ মাহমুদ সুজনের কোচিংয়ে বিপিএলের নবম আসরে আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারেনি খুলনা টাইগার্স। তবে ড্রেসিংরুমে ধূমপান করে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন সুজন। সেই অপরাধের শাস্তি পেয়েছেন খুলনার প্রধান কোচ। আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ‘ধূমপায়ী’ সুজনসহ মোট ৪ জনকে দেওয়া হয়েছে শাস্তি।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হয় খুলনা। ওই ম্যাচের একপর্যায়ে ধূমপান করা অবস্থায় ক্যামেরায় ধরা পড়েন সুজন। মুহূর্তেই সেই ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়, যা এখন ক্রিকেটপাড়ায় মুখরোচক আলোচনা-সমালোচনার বিষয়বস্তু।
ওই ঘটনায় সুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন অন-ফিল্ড আম্পায়ার আলি আরমান রাজন ও রবীন্দ্র বিমালাসারি, থার্ড আম্পায়ার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এবং চতুর্থ অফিশিয়াল মাহফুজুর রজমান লিটু।
দোষ প্রমাণিত হওয়ায় সুজনকে ম্যাচ ফি’র ৩০ শতাংশ অর্থ জরিমানা করা হয়েছে এবং তার ঝুলিতে জমা পড়েছে ২টি ডিমেরিট পয়েন্ট। শাস্তি মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক কোনো শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।
শাস্তি পাওয়া অপর তিনজন হলেন- রংপুর রাইডার্সের শেখ মেহেদী ও নিকোলাস পুরান এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। গতকাল (১২ ফেব্রুয়ারি) ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ক্রিকেটীয় সরঞ্জামের উপর অসম্মান প্রদর্শন করায় শেখ মেহেদীকে ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।
শেখ মেহেদীর ঝুলিতে জমা পড়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও। একই ম্যাচে জার্সির নিয়ম লঙ্ঘন করায় ম্যাচ ফি’র অর্ধেকটা জরিমানা হিসেবে দিতে হবে পুরানকে। একইসঙ্গে দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন রংপুরের এই বিদেশি ক্রিকেটার।
প্রথম কোয়ালিফায়ারে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে লোগা গাইডলাইন না মানায় ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে কুমিল্লার মোসাদ্দেককে। তিনিও পেয়েছেন একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। তিন ক্রিকেটার তাদের শাস্তি মেনে নিয়েছেন বিধায় প্রয়োজন নেই কোনো আনুষ্ঠানিক শুনানির।
এসজি