লড়াই করার আভাস দিয়েও বাংলাদেশের মেয়েদের বড় হার
সম্বল মাত্র ১২৬ রান। তাই নিয়ে প্রতিপক্ষের ২৫ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে লড়াই করার আভাস ফুটে উঠে। একই সঙ্গে জয়ের সম্ভাবনাও। কিন্তু পরে তার কোনো কিছুই হয়নি। এই সম্ভাবনা পরে আর কোনো ডাল-পালা বিস্তার করতে পারেনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ১২৬ রান করেছিল। জবাব দিতে নেমে শ্রীলঙ্কা ২৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় ৭ উইকেটে। ১৮.২ ওভারে তারা করে ১২৯ রান। মেয়েদের টি-টোয়েন্টি ২০ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার এটি ছিল দ্বিতীয় জয়। আগের ম্যাচে তারা হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। পক্ষান্তরে সেমিতে খেলার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করল হার দিয়ে। বাংলাদেশের পরবর্তি ম্যাচ ১৪ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনের নিউল্যান্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ভালো পুঁজি গড়তে পারেনি ব্যাটারদের ব্যর্থতায়।
শুরুতেই ওপেনার মুর্শিদা খাতুনের (০) উইকেট হারালেও পরবর্তিতে আরেক ওপেনার শামীমা সুলতানার ১৩ বলে ৪ বাউন্ডডারিতে ২০, সোবহানা মুস্তারির ৩২ বরে ৫ চারে ২৯, অধিনায়ক নিগার সুলতানার ৩৪ বলে ১ চারে ২৮ রানে ভর করে বাংলাদেশের বড় পুঁজি গড়ারই সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু ক্রমান্বয়ে এরা আউট হয়ে যাওয়ারি পর বাকি ব্যাটাররা আর সেই তালে রান সংগ্রহ করতে পারেননি। যে কারণে চতুর্থ ব্যাটাররা হিসেবে অধিনায়ক নিগার আউট হওয়ার সময় দলের রান ছিল ৪ উইকেটে ১৫.২ ওভারে ৯৫। বাকি ৪.৪ ওভারে আরও ৪ উইকেট হারিয়ে তারা যোগ করে মাত্র ৩১ রান। শ্রীলঙ্কার ওসাদি রানাসিঙ্গে ২৩ রানে ৩টি ও চামারি আতাপাত্তু ১৯ রানে ২টি উইকেট নেন।
ছোট টার্গেটের পেছনে ছুটে লঙ্কান মেয়েরা শুরুতেই বাংলাদেশের মারুফা আক্তারের তোপে পড়ে বেসামাল হয়ে যায়। মারুফা তার প্রথম ও দ্বিতীয় ওভারে লঙ্কান শিবিরে আঘাত হানেন। প্রথম ওভারে ওপেনার চামারি আতাপাত্তুকে ১৫ রানে আউট করার পর দ্বিতীয় ওভারে পরপর দুই বলে আউট করেন ভিসমি গুনারত্নে (১) ও আনুস্কা সানজিভানিকে (০)। দলের রান তখন ৫.২ ওভারে মাত্র ২৫।
শুরুতেই এমন সাফল্য বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রাও উজ্জীবিত হয়ে উঠেন। আরও ব্যাপক আঘাত হানার পরিকল্পনা তারা করতে থাকেন। কিন্তু তাদের সেই পরিকল্পনায় বাধ সাধেন লঙ্কান ওপেনার হারসিতা সামারাবিক্রমা ও নিলাকাশি ডি সিলভা। দুইজনে এমনভাবে ক্রিজে খুঁটি গেড়ে বসেন যে বাংলাদেশের বোলাররা প্রাণান্তকর চেষ্টা করেও তাদের টলাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত এই দুই জনকে আর আউটই করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে এক সময় যেখানে মনে হয়েছিল ম্যাচ বাংলাদেশের হাতের মুঠোয়, সেখানে তা আলগা হয়ে যায়। দুই ব্যাটরার ১৪ ওভারে ১০৪ রান করে অবিচ্ছিন্ন থাকেন। ওপেনার হারসিতা ৫০ বরে ১ ছক্কা ও ৮ চারে ৬৯ ও নিলকাশি ৩৮ বলে ২ চারে রান করে অপরাজিত থাকেন। হারসিতা ৪১ বরে হাফ সেঞ্চরি তুলে নেন। মারুফা ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ম্যাচ সেরা হন হারসিতা সামারাবিক্রমা।
এমপি/এসএন