ফাইনালের টিকিট পেতে টস জিতে বোলিংয়ে কুমিল্লা
বিপিএলের নবম আসরে সিলেট শুরুতে সিলেট স্ট্রাইকার্স ছিল অপ্রতিরোধ্য। টানা পাঁচ ম্যাচ জেতে তারা। শুরু থেকে তারা যে পয়েন্ট টেবিলের চূড়ায় উঠেছিল, শেষ পর্যন্ত তা ধরে রেখেই আজ কোয়ালিফায়ার-১ খেলতে নামবে।
তাদের প্রতিপক্ষ কুমিল্লা ভিক্টোরয়ানস হওয়াতে সিলেটকে আর অপ্রতিরোধ্য বলা যাচ্ছে না। তা কেড়ে নিয়েছে কুমিল্লা। কারণ প্রথম তিন ম্যাচে হারের পর তারা তাদের অবিধাণ থেকে ‘হার’ শব্দটিকে মুছে দিয়েছে।
টানা ৯ ম্যাচে জিতে তারা এসেছে এই পর্যায়ে। লিগ পর্বে যদিও দুই দল পরস্পরের বিপক্ষে একবার করে জয়ী হয়েছে। কিন্তু আজকের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। দুই দলেরই পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা চলে যাওয়াতে শক্তির বেজায় পরিবর্তন ঘটেছে। তারপরও নতুন করে আসা বিদেশি ক্রিকেটার সংগ্রহে কুমিল্লাই এগিয়ে। তাই অপ্রতিরোধ্য কুমিল্লার চালিকা শক্তি থামিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালের টিকিট পেতে সিলেট টস হেরে ব্যাটিং করতে নামবে।
বিদেশি ক্রিকেটারদের কোটায় দুই দলই বেশি করে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের উপর নির্ভর ছিল। তারা দলের কান্ডারিও হয়ে উঠেছিলেন। সিলেটের মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়ইসম এবং কুমিল্লার মোহম্মদ জিওয়ান ও খুশদিল শাহ চলে গেছেন। এই শূন্যস্থানগুলো পরিবর্তন ছিল প্রত্যাশিত।
সিলেট তাদের দুই ক্রিকেটারের পরিবর্তে নিয়েছে ইসুনু উদানা ও শফিকউল্লাহ গাফারিকে। এ ছাড়া গুলবাদিন নাইবকে বাদ দিয়ে দলে নিয়েছে জর্জ লিন্ডেকে। কুমিল্লা সেরা একাদশে নামিয়েছে ইংল্যান্ডের মঈন আলী ও জনসন চার্লসকে। দুই দলই দেশি কোনো ক্রিকেটারকে পরিবর্তন করেনি।
সিলেট স্ট্রাইকার্স: মাশরাফি (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হাসান শান্ত, তৌহিদ হৃদয়, জাকির হাসান, রায়ান বার্ল, রুবেল হোসেন, ইসুরু উদানা, শফিকউল্লাহ গাফারি, জর্জ লিন্ডে ও তানজিম হাসান সাকিব।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস: ইমরুল কায়েস (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, মঈন আলী, জনসন চার্লস, মোসাদ্দেক হোসেন, জাকের আলী, তানভীর ইসলাম, আন্দ্র রাসেল, মোস্তাফিজুর রহমান, সুনিল নারিন, ও মুকিদুল ইসলাম।
এমপি/এমএমএ/