বরিশালকে ছুটি দিয়ে টিকে থাকল রংপুর
চার চারজন নতুন বিদেশি নামিয়ে তার ফায়দা তুলে নিল রংপুর রাইডার্স। নবম বিপিএলে ফাইনালে যাওয়ার টিকে থাকার মিশনে ফরচুন বরিশালকে তারা হারিয়েছে ৪ উইকেটে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বরিশালের ৩ উইকেটে ১৭০ রান রংপুর ৩ বল হাতে রেখেই ছয় উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। তারা ১৪ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে যাওয়ার চূড়ান্ত লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবে রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সিলেট স্ট্রাইকার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হেরে যাওয়া দলের বিপক্ষে।
অপরদিকে বরিশাল টানা তিন হারে আসর থেকে বিদায় নিল।
নতুন আসা ৪ বিদেশি ক্রিকেটারের কারণে রংপুরের ব্যাটিং লাইন ছিল অনেক শক্তিশালী। দাসুন শানাকা নিকোলাস পুরান, ডুয়াইন ব্রাভোদের সঙ্গে মোহাম্মদ নাঈম শেখ, রনি তালুকদার, নুরুল হাসান সোহান, শেখ মাহেদি হাসান, শামীম পাটোয়ারীদের সামনে ১৭০ রান খুব একটা নিরাপদ নয়। এমন শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনকে কাবু করতে হলে বরিশালের প্রথমেই প্রয়োজন ছিল শুরুতেই আঘাত হানা।
সে কাজটিই অত্যন্ত নিখুঁতভাবে করেন অধিনায়ক সাকিব দলের ও নিজের প্রথমবারের পঞ্চম বলেই মোহাম্মদ নাঈম শেখকে ০ রানে ফিরিয়ে দিয়ে।
কিন্তু শুরুর এই ব্যর্থতা ডেকে দেন রনি তালুকদার ও শামীম পাটোয়ারী দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৬.২ ওভারে ৬১ রান যোগ করে। রনি ২টি করে চার ও ছক্কা মেরে ১৭ বলে ২৯ রান করে কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে আউট হয়ে যান সানজামুলের৷ হাতে ক্যাচ দিয়ে।
কিন্তু রংপুরকে খেলায় রাখেন শামীম পাটোয়ারি। বিপিএল প্রথমবারের মতো জ্বলে উঠে তার ব্যাট। রনির পর নুরুল হাসানকে নিয়ে ৩.৪ ওভারে ৩৫ রান যোগ করেন। ১৩ বলে ৩ চারে ১৮ রান করে তিনি সাকিবের শিকার হন।
রংপুরের রান নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অধিনায়ক সাকিব একে একে সাতজন বোলার ব্যবহার করেন। সপ্তম বোলার হিসেবে সৈয়দ খালেদ আহমেদ বল হাতে তুলে নেওয়ার পরই পরপর মহামূল্যবান দুটি উইকেট তুলে নিয়ে খেলাকে জমিয়ে তুলেন। একটি ছিল নিকোলাস পুরনের, অপরটি শামীম পাটোয়ারীর। নিকোলাস ৮ বলে ৫ রান করে সাকিবের হাতে ক্যাচ দেন। শামীম ৪টি করে চার ও ছয় মেরে ৭১ রানে পিটোরিয়াসের হাতে ধরা পড়েন। তিনি হাফ সেঞ্চুরি করেন ৩৬ বলে।
শামীম আউট হওয়ার সময় রংপুরের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০ বলে ৩১ রানের। ক্রিজে দাসুন শানাকা ও ডুয়াইন ব্রাভো। কিন্তু ব্রাভোকে ২ রানে ফিরিয়ে দেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। রংপুরের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৩ বলে ২০ রানের।
মাহেদি হাসান এসে মারমুখী ব্যাটিং করে কোনো নাটকীয়তা সৃষ্টি হতে দেননি। মাহেদি ৪ চারে ৯ বলে ১৮ ও শানাকা ১২ বলে ১ ছক্কায় ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।
সাকিব ২৩, খালেদ ২৪ ও কামরুল ৩৩ রানে নেন ২টি করে উইকেট।
এমপি/এমএমএ/